ব্যাংক
ন্যায়পাল প্রকল্প, ২০০৬
এই
সাধারণ প্রশ্নাবলীটি নিচের বিভাগগুলিতে বিভক্ত করা হয়েছে:
ক. ভূমিকা
খ.
যে
ধরনের অভিযোগ ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে করা যায়
গ.
ব্যাংক
ন্যায়পালের কাছে আবেদন করতে হলে
ঘ.
ব্যাংক
ন্যায়পালের দ্বারা মামলা পরিচালনা পদ্ধতি
ঙ.
ব্যাংক
ন্যায়পাল কর্তৃক মামলার রায় দেওয়া
চ.
রায়ের
বিরুদ্ধে আপীল
ছ.
অন্যান্য
ক.
ভূমিকা:
১।
ব্যাংক
ন্যায়পাল প্রকল্প ২০০৬ আমাদের কীভাবে সাহায্য করতে পারে?
ব্যাংক
ন্যায়পাল প্রকল্পটি ব্যাংকের দ্বারা পেশ করা পরিষেবা বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অসন্তোষ ও
অভিযোগের সমাধান করে।
২।
ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্পটি বলবত্ হয়েছে কি?
১লা
জানুয়ারী ২০০৬ থেকে এই প্রকল্প বলবত্ হয়েছে।
৩।
ব্যাংক
ন্যায়পাল কে?
ব্যাংকের
দ্বারা পেশ করা পরিষেবা বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অসন্তোষ ও অভিযোগের সমাধানকারী ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা নিযুক্ত ব্যক্তির নাম ব্যাংক ন্যায়পাল।
৪।
ব্যাংক ন্যায়পালের আইনী ক্ষমতা আছে কি?
ব্যাংক
ন্যায়পাল একটি আপাতদৃষ্টিতে আইনি সংস্থা যার কাছে এই ক্ষমতা আছে যে দুই পক্ষ -
ব্যাংক ও গ্রাহককে ডেকে, মধ্যস্থতার মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে
পারে।
৫।
কতগুলি
ব্যাংক ন্যায়পাল নিযুক্ত হয়েছেন এবং তাঁরা কোথায় অবস্থিত?
একনও
পর্যন্ত, ১৫টি ব্যাংক ন্যায়পাল নিযুক্ত হয়েছে এবং তাঁরা সাধারণত রাজ্যের রাজধানীতে
অবস্থিত আছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ব্যাংক ন্যায়পালের ঠিকানা পাওয়া
যাবে।
৬।
কোন
ব্যাংকগুলি ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্প, ২০০৬-এয় আওতায় আসবে?
সব
তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক, আঞ্চলিক গ্রামীণ, এবং প্রধান সমবায় ব্যাংকগুলি এই প্রকল্পের
আওতায় আসবে।
৭।
নতুন
ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্প, ২০০৬ পুরোনো ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্প, ২০০২ তেকে কতটা
আলাদা?
নতুন
ব্যাংক ন্যায়পালের বিচারের আওতা ও ক্ষমতা পুরোনো প্রকল্পটি থেকে অনেক বিস্তৃত। নতুন
প্রকল্পের আওতায় অনলাইনেও অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়াও নতুন প্রকল্পে ওকটি
‘আবেদনকারী
কর্তৃপক্ষ’
আছেন যাদের কাছে ব্যাংক ন্যায়পালের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে আপীল করা
যাবে।
খ.
যে ধরনের অভিযোগ ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে করা যায়
৮।
কী
ধরনেরে অভিযোগ ব্যাংক ন্যায়পাল সমাধান করতে পারে?
ব্যাংক
অথবা অন্যান্য পরিষেবায় কোন ত্রুটি দেখতে পেলে নিচে দেওয়া যে কোন একটির ভিত্তিতে
অভিযোগ জানানো যাবে ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে যেমন:
·
অর্থ
না দিলে অথবা অর্থ দিতে অযথা দেরি করলে অথবা চেক, ড্রাফ্ট
অথবা বিল ইত্যাদি ভাঙাতে দেরি করলে;
·
ছোট
বা কম মূল্যের নোট যদি অগ্রহণযোগ্য হয় কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এবং তার জন্য যদি
কোন কমিশন নেওয়া হয়;
·
কোন
নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া যদি কয়েন নিতে অস্বীকার করা হয় এবং তার জন্য যদি কোন কমিশন
নেওয়া হয়;
·
প্রেরিত
টাকা যদি না দেওয়া হয় অথবা দিতে দেরি করা হয়;
·
ড্রাফ্ট, পে-অর্ডার
অথবা ব্যাংকার্স চেক দিতে না পারে অথবা দিতে দেরি হয়;
·
নির্দিষ্ট
সময় কাজ না করা হয়;
·
গ্যারান্টি
বা লেটার অফ ক্রেডিটের উপর টাকা দিতে না পারলে;
·
ব্যাংকের
অথবা তার প্রতিনিধির দ্বারা লিখিত পরিষেবার কোন অঙ্গীকার রাখা না হয় অথবা এ ব্যপারে
দেরি করা হয় (ঋণ ছাড়া) ;
·
গ্রাহকের
অ্যকাউন্টে অর্থ জমা না দেওয়া অথবা দিতে দেরি করা, আমানতের
টাকা ফেরত না দেওয়া অথবা সঞ্চয়, চালু
অথবা অন্য ধরনের অ্যকাউন্টের উপর সুদের হার সংক্রান্ত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের
নির্দেশ না মানা হয়;
·
রপ্তানিকারীদের
জন্য রপ্তানির অর্থ পেতে দেরি হওয়া, রপ্তানির
বিল ভাঙাতে দেরি হওয়া ইত্যাদি অভিযোগগুলি যদি ভারতে ব্যাবসা করছে এমন ব্যাংকের
সম্বন্ধে হয়;
·
আমানত
অ্যকাউন্টের জন্য অ্যকাউন্ট খুলতে যদি কোন নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া বাধা দেওয়া
হয়;
·
আগে
থেকে না জানিয়ে যদি গ্রাহকের উপর অযথা আর্থিক ভার চাপানো হয়;
·
রিজার্ভ
ব্যাংক এ-টি-এম/ডেবিট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড পরিষেবার ব্যাপারে যে সব নির্দেশ
দিয়েছেন, যদি
কোন ব্যাংক অথবা সহকারি প্রতিষ্ঠান সেটা না মানে;
·
অবসরহ
ভাতা না দেওয়া অথবা অযথা দেরি করা হয় (সেক্ষেত্রে ব্যাংক দায়ী হবে, তার
অধস্তন কোন কর্মচারি নয়) ;
·
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক অথবা সরকারের প্রয়োজনে তোলা রাজস্ব যদি গ্রহণ না করা হয় অথবা নিতে
দেরি করা হয়;
·
সরকারি
অর্থ পত্র ছারতে না চাওয়া অথবা ছাড়তে দেরি করা অথবা ভাঙাতে দেরি করা অথবা ভাঙতে না
পারা;
·
কোন
নির্দিষ্ট কারন ছাড়া অথবা কোন পূর্ব বিজ্ঞপ্তি ছাড়া যদি জোর করে জমা আমানত
অ্যকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়;
·
যদি
চলতি আমানত বন্ধ করতে রাজি না হয় অথবা বন্ধ করতে অযথা দেরি হয়;
·
ব্যাংক
দ্বারা মান্য বিধিসম্মত কাজের নিয়মাবলি না মানা;
·
ব্যাংক
অথবা তার পরিষেবা সংক্রান্ত যে নির্দেশ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক দিয়েছেন তা যদি
অমান্য করা হয়;
৯।
ব্যাংক
ন্যায়পাল কি অনাবাসী ভারতীয়দের অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে পারে?
হ্যাঁ, বাইরে
থেকে পাঠানো টাকা,
জমানো
টাকা এবং অন্যান্য পরিষেবার ব্যপারে যদি কোন অনাবাসী ভারতীয় অভিযোগ করেন, যাঁর
ভারতে অ্যাকাউন্ট আছে, তবে ব্যাংক ন্যায়পাল সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে
পারে
গ.
ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে আবেদন করতে হলে
১০।
কখন
অভিযোগকারী অভিযোগ করতে পারবেন?
যদি
ব্যাংকের কাছে অভিযোগ করার পর অভিযোগকারী এক মাসের মধ্যে কোনো উত্তর না পান, যদি
ব্যাংক অভিযোগটি খারিজ করে দেয় অথবা ব্যাংকের উত্তরে অভেযোগকারী সন্তুষ্ট না হন তবে
ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ করা যাবে।
১১।
ব্যাংক
ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ জানাতে অভিযোগকারীকে কোনো শর্ত পূরণ করতে
হবে?
ব্যাংক
ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ দায়ের করার আগে, অভিযোগকারীকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে অভিযোগ
সম্বন্ধে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এই অভিযোগটি ঘটনাটি ঘটার এক বছরের মধ্যে হতে
হবে।
১২।
ব্যাংক
ন্যায়পাল দ্বারা আগে নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া অভিযোগের বিষয়বস্তু কি ব্যাংক ন্যায়পালের
সামনে আবার বিচার করার জন্য দেওয়া যেতে পারে?
না। অভিযোগের
বিষয়বস্তু আগে ব্যাংক ন্যায়পাল দ্বারা নিষ্পত্তি যাওয়া অভিযোগের হলে চলবে না।
১৩।
কোনো
আদালত, ট্রাইবুনাল অথবা মধ্যস্থতাকারী দ্বারা আগে নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া মামলার
বিষয়বস্তু, যা উপর আদালত, ট্রাইবুনাল অথবা মধ্যস্থতাকারী আগেই রায় দিয়েছেন, সেইসব
কি ব্যাংক ন্যায়পালের সামনে আবার বিচার করার জন্য দেওয়া যেতে
পারে?
না।
১৪।
ব্যাংক
ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি কী?
অভিযোগকারী
সাদা পাতায় আবেদন করে ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি অনলাইনেও
এই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন এখানে www.bankingombudsman.rbi.org.in এথবা
ব্যাংক ন্যায়পালকে ইমেল পাঠিয়ে। অভিযোগ দায়েরের একটি নির্দিষ্ট বয়ান আছে, যা সব
ব্যাংকের সব শাখা থেকেই পাওয়া যায়। তবুও এই বয়ানটি না ব্যাবহার করলেও হবে, তবে সব
জরুরি তথ্য অভিযোগের থাকতে হবে।
১৫।
অভিযোগকারীর
নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা অভিযোগ দায়ের করা যাবে কি?
হ্যাঁ।
অভিযোগকারীর
নির্বাচিত কোন প্রতিনিধি (উকিল
ব্যতীত)
ব্যাংক
ন্যায়পালের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন
১৬।
অভিযোগ
দায়র করতে কোনো শুল্ক দিতে হবে কি ?
না।
ব্যাংক ন্যায়পালের গ্রাহকের কাছে থেকে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে কোনো শুল্ক ধার্য করে
না।
১৭।
অভিযোগে
কী কী তথ্য থাকতে হবে ?
অভিযোগে,
অভিযোগকারীর নাম এবং ঠিকানা, যে ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার নাম এবং ঠিকানা,
অভিযোগের কারণ ও তত্-সম্বন্ধীয় নথিপত্র (যদি থাকে) , অভিযোগকরীর ক্ষতির বিবরণ এবং
পরিমাণ এবং ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে যে উপশম চাওয়া হচ্ছে তার তথ্য থাকতে হবে এবং
সঙ্গে অভিযোগকারী দ্বারা শর্তাবলী মেনে চলার ঘোষণাপত্র।
ঘ.
ব্যাংক ন্যায়পালের দ্বারা মামলা পরিচালনা পদ্ধতি
১৮।
যখন
ব্যাংক ন্যায়পাল কোনো অভিযোগ পান তারপর কি হয়?
ব্যাংক
ন্যায়পাল মধ্যস্থতার মাধ্যমে ব্যাংক ও অভিযোগকারীর মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তি করাতে
জোর দেয়।
১৯।
ব্যাংক যদি অবিযোগ মিটিয়ে নিতে বলে তবে কী হবে?
যদি
অভিযোগ মিটিয়ে নেওয়ার শর্ত অভিযোগকারীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে যার দ্বারা অভিযোগ
পুরোপুরি ও চূড়ান্ত ভাবে নিষ্পত্তি করা যায় তবে, ব্যাংক ন্যায়পাল সেই মর্মে রায়
দেবে যা মেনে চলা ব্যাংকের কাছে বাধ্যতামূলক হবে।
২০।
যদি
ঐক্যমত্যের মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হয় ?
এক
মাসে ভিতর যদি ঐক্যমত্যের দ্বারা অভিযোগের নিষ্পত্তি না হয় তবে ব্যাংক ন্যায়পাল
নিজে থেকে একটি রায় দেবেন। তবে রায় দেওয়ার আগে ব্যাংক ন্যায়পাল ব্যাংক ও
অভিযোগকারীকে তাদের বক্তব্য জানানোর যথেষ্ঠ সুযোগ দেবে।
২১।
রায়
দেওয়ার আগে ব্যাংক ন্যায়পাল কী কী বিচার করে দেখবেন ?
রায়
দেওয়ার জন্য ব্যাংক ন্যায়পাল তার সামনে পেশ করা নথিপত্রের উপর নির্ভর করবে,ব্যাংক
নীতি, আইনগুলি ও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কর্তৃক জারি করা নির্দেশিকাগুলি বিচার করে
দেখবে, এবং সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিও মাথায় রাখবে, যা রায জানানোর জন্য জরুরি
হবে।
ঙ.
ব্যাংক ন্যায়পাল কর্তৃক মামলার রায় দেওয়া
২২।
ব্যাংক
ন্যায়পাল রায় জানানোর পর কী হবে?
রায়
জানানোর পর তার প্রতিলিপি ব্যাংক ও অভিযোগকারীকে জানানো হবে যা তারা মানতে পারে
অথবা বাতিল করতে পারে।
২৩।
যদি অভিযোগকারীর পক্ষে দেওয়া রায়টি যদি গ্রহণযোগ্য হয় তবে কী করা
যাবে?
রায়টি
যদি অভযোগকারীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তবে তাকে রায়ের প্রতিলিপি পাওয়ার ১৫ দিনের
মধ্যে প্রাপ্তি স্বীকার ও রায়টি গ্রহণযোগ্যতা স্বীকার করে চিঠি দিতে হবে সংশ্লিষ্ট
ব্যাংককে।
২৪।
স্বীকৃতির
চিঠি পাঠানোর সময়টি কি বাড়ানো যেতে পারে?
হ্যাঁ।
অভিযোগকারী ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে স্বীকৃতির চিঠি পাঠাতে সময় বাড়ানোর আবেদন যথাযথ
কারণ দেখিয়ে করতে পারেন।
২৫।
স্বীকৃতির
চিঠি পাঠানোর সময় বাড়ানোর আবেদন পেলে ব্যাংক ন্যায়পাল কী করবেন?
যদি
অভিযোগকারী দ্বারা দর্শিত কারণগুলি যথাযথ বলে ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে প্রতিভাত হয়
তবে সে স্বীকৃতির চিঠি পাঠানোর সময়সীমাটি ১৫ দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত বাড়াতে
পারেন।
২৬।
অভিযোগকারী
যদি স্বীকৃতীর চিঠি পাঠিয়ে দেন তবে কী হবে ?
যদি
ব্যাংক রায়টি সম্বন্ধে সন্তুষ্ট হয় তবে অভিযোগকারী দ্বারা স্বীকৃতির চিঠি হাতে
পাওয়ার একমাসের মধ্যে, ব্যাংকটিকে রায়টি কার্যকর করতে হবে এবং সেটি ব্যাংক
ন্য়ায়পালকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
২৭।
ব্যাংক
ন্যায়পালের রায়ে নিতে না চাইলে অভিযোগকারীর কাছে কি আর কোনো বিকল্প খোলা
আছে?
যদি
অভিযোগকারী ব্যাংক ন্যায়পালের রায়ে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তিনি ব্যাংক ন্যায়পালের
রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আপীল করতে পারবেন।
২৮।
রায়
বাতিল করলে, অভিযোগকারী তার অভিযোগগুলির বিষয়ে তিনি কি অন্য কোনো আদালত বা অন্য
কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে পারবেন কি ?
রায়
বাতিল করলে অভিযোগকারী আইন অনুযায়ী অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন অথবা অন্য
কর্তৃপক্ষ (যেমন আদালত) ইত্যাদির কাছে আবেদন করতে পারবেন।
২৯।
ব্যংকের
কাছে ব্যাংক ন্যাযপালের রায় যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তবে কী হবে ?
ব্যাংক
এই প্রকল্প অনুযায়ী আবেদনকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবে।
চ.
রায়ের বিরুদ্ধে আপীল
৩০।
আবেদনকারী
কর্তৃপক্ষ কে ?
আবেদনকারী
কর্তৃপক্ষ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর।
৩১।
আপীল
করার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে কি ?
যেকোন
ব্যক্তি রায়টি গ্রহণ করার ৪৫ দিনের মধ্যে পুনর্বিচারের আবেদন জানাতে পারেন
আবেদনকারী কর্তৃপক্ষের কাছে।
আবেদনকারী
কর্তৃপক্ষে,
যদি
বোঝেন যে অভিযোগকারীর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগ না জানাতে পারার যথেষ্ট কারণ
ছিল তাহলে ৩০ দিনের অতিরিক্ত সময়সীমা বাড়াতে পারেন।
অভিযোগটি
ব্যাংকের দ্বারা লিপিবদ্ধ করা হবে চেয়ারম্যান সাহেবের অনুমতি নিয়ে।
যদি
চেয়ারম্যান সাহেব অনুপস্থিত থাকেন তাহলে ম্যানেজিং ডিরেক্টার অথবা এক্সেকিউটিভ
ডিরেক্টার অথবা চীফ এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টার অথবা সমগোত্রীয় কোন উচ্চপদস্থ ব্যক্তির
অনুমতি নিতে হবে।
৩২।
কীভাবে
আবেদনকারী কর্তৃপক্ষ আপীলের বিচার করবেন ?
আবেদনকারী
কর্তৃপক্ষ
১)
আবেদনটি
খারিজ করে দিতে পারেন;
২)
আবেদনটি
বিবেচনা করবেন এবং রায়টি স্থগিত রাখবেন;
অথবা
৩)
তিনি
সেটিকে পুনর্বিচার করতে ব্যাংক ন্যায়পালের কাছে পাঠাতে পারেন,
যেমন
আবেদনকারী কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় অথবা ঠিক বলে মনে করবেন;
অথবা
৪)
রায়টিকে
কিছুটা পরিবর্তন করতে পারেন এবং পরিবর্তিত রায়টি কার্যকর করবার জন্য নির্দেশ দিতে
পারেন।
৫)
এক্ষেত্রে
প্রজোয্য বলে মনে হলে তিনি যে কোন আদেশ দিতে পারেন।
ছ.
অন্যান্য
৩৩।
যে
কোনো পর্যায়ে ব্যাংক ন্যায়পাল কি অভিযোগ প্রত্যাখান করতে পারেন?
হ্যাঁ।
ব্যাংক
ন্যায়পাল যে কোন পর্যায় অভিযোগটি প্রত্যাখান করত পারেন যদি তার মনে হয়
অভিযোগটি:
১)
নগন্য,
বিরক্তিকর,
ক্ষতিকর,
উপযুক্ত কারণ ছাড়া অভিযোগটি করা হয়েছে, অথবা
২)
কোন
প্রযোজনীয় গবেষণা ছাড়াই অভিযোগকারী এই অভিযোগটি করেছেন অথবা
৩)
ব্যাংক
ন্যায়পালের মতে
অভিযোগকারীর কোন ক্ষতি বা অসুবিধা হয়নি
৪)
ব্যাংক ন্যায়পালের বিচারের আওতার বাইরে
৫)
ব্যাংক
ন্যায়পাল একটি অভিযোগকে নাকচ করে দিতে পারেন যদি তাঁর অভিযোগের প্রমাণাদি দেখে এটা
মনে হয় যে বিস্তারিত লিখিত এবং মৌখিক প্রমানাদি এবং ব্যাংক ন্যায়পালের সামনে
সুনানি,
সেই
অভিযোগ বিচারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়।
৩৪।
ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্প ২০০৬ বলবত্ হওয়ার আগে অমীমাংসিত অভিযোগগুলি কীভাবে
নিয়ন্ত্রিত হবে ?
ব্যাংক
ন্যায়পাল প্রকল্প ২০০৬ বলবত্ হওয়ার আগে অমীমাংসিত অভিযোগের বিচারপূর্বক রায় দান
এবং যে সব রায় দেওয়া হয়ে গেছে তা
সম্পাদন
করা পূর্বের ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্পের নিয়মাবিধি ১৯৯৫ ও ২০০২ এবং ভারতীয় রিজার্ভ
ব্যাংকের নির্দেশানুসারে নিয়ন্ত্রিত হবে।
৩৫।
এই
প্রকল্পে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ভূমিকা কি ?
ব্যাংকের
গ্রাহকদের অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্পটি ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক তৈরী করেছেন। এর মাধ্যমে, এই প্রকল্পে যেমন বলা আছে তেমন, ব্যাংক
পরিষেবায় ঘাটতি বা অন্যান্য বিষয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি আইনি ও
প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো পাওয়া যায়। এই প্রকল্পটি বলবত্ হয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ
ব্যাংকের দ্বারা প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বলে যা ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪৯-এর
ধারা ৩৫এ প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক তার বরিষ্ঠ কর্মীদের ব্যাংক
ন্যায়পালের কাজে নিযোজিতও করে যাতে প্রকল্পটি আরো ফলপ্রসূ হয়।
৩৬।
কবে ব্যাংক ন্যায়পাল প্রকল্প চালু হয়েছিল ?
ব্যাংক
ন্যায়পাল প্রকল্প প্রথম চালু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে এবং ২০০২ সালে তা সংশোধিত করা
হয়েছিল। গত কয়েক বছরে প্রায় ৩৬,০০০ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।