নাগরিকদের জন্য বিদেশী মুদ্রার সুবিধা
(স্বতন্ত্র্য ব্যক্তির জন্য)
বিদেশী
মুদ্রা বিভাগ
বহিঃ
পাওনা বিভাগ
নাগরিকদের
জন্য বিদেশী মুদ্রা বিনিময়ের সুবিধা (১লা জানুয়ারী,২০০৬)
ভুমিকা
:
ভারতে
এক্সচেঞ্জ কনট্রোল পরিচালনার বৈধ কাঠামোটি ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট,
১৯৯০ দ্বারা ব্যবস্থিত ।
এই আইন
অনুযায়ী, কারেন্ট অ্যাকাউন্টে (চালু খাতা) লেনদেনের কর্মভার/পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য
বিদেশী
মুদ্রার ক্রয় এবং বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।
যাই হোক, কেন্দ্রীয় সরকার
রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে পরামর্শ করে কারেন্ট অ্যাকাউন্টের (চালু খাতা) লেনদেনের ওপর
সঙ্গত যুক্তিপূর্ণ সীমাবদ্ধকরণ আরোপ করার জন্য ক্ষমতা কায়েম করেছে।
তদনুসারে, সরকার সময়ে সময়ে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি GSR. 381
(E)
৩রা
মে, ২০০০ তারিখে এবং S.O. 301(E)
৩০
শে মার্চ, ২০০১ তারিখে জারি করেছে, যার সর্বশেষ সংশোধন হয়েছে ২০০৪-এর
১৩ই
সেপ্টেম্বরে
প্রকাশিত ভাইড নোটিফিকেশন নম্বর GSR.608(E)-এ,
জনগণের স্বার্থে কারেন্ট
অ্যাকাউন্টের (চালু খাতা) লেনদেনের ওপর নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধকরণ আরোপ
করে।
এই
সমস্ত বিস্তৃত বিবরণ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত ডিলার এবং ফরেন
এক্সচেঞ্জ ডিপার্টমেন্টের আঞ্চলিক অফিসে পাওয়া যাবে।
সাধারণ
প্রশ্নাবলী অতি সাধারণ ভাষায় এই ধরণের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা
করে।
১৯৯৯
সালে
প্রচলিত ফরেন
এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, (ফেমা), ২০০০ সালের ১লা জুন থেকে বলবত করা
হয়েছে।
নতুন আইন চালু করে (ফেরা-র জায়গায়), নির্দিষ্ট কিছু পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়েছে
এবং এখন বিদেশী মুদ্রা সম্বন্ধিত সমস্ত লেনদেন, হয় ক্যাপিট্যাল নয়তো কারেন্ট
অ্যাকাউন্টের লেনদেনে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে।
সমস্ত লেনদেনের কর্মভার একজন নাগরিকের
দ্বারা গৃহীত হয়েছে , যে লেনদেন তার সম্পত্তি অথবা দেনা ভারতের বাইরে পরিবর্তিত
করতে পারে না সেটি হল কারেন্ট অ্যাকাউন্টের লেনদেন । এফ.ই.এম.এ.-র ৫নং.বিভাগ অনুযায়ী
(
ফেমা),
ব্যক্তিরা স্বাধীনভাবে যে কোনো কারেন্ট অ্যাকাউন্টের লেনদেনে বিদেশী মুদ্রা ক্রয় বা
বিক্রয় করতে পারে, তবে যে লেনদেনে কেন্দ্রীয় সরকারের সীমাবদ্ধতা আরোপ করা আছে যেমন,
৩রা মে ,২০০০-এ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি নম্বর G.S.R.381
(E)
অনুযায়ী
(সময়ে
সময়ে সংশোধিত) সেইগুলি ছাড়া।
অফিসের গেজেটে কথিত বিজ্ঞপ্তির সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়া যাবে।
আমাদের
ওয়েবসাইট www.mastercirculars.rbi.org.in. –এ
মিসলেনিয়াস রেমিটেন্সে (বিবিধ প্রেরিত টাকাকড়ি)-এর ওপর সংযোজক হিসাবেও আমাদের
মুখ্য প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে এটি পাওয়া যায়।
I.
ভ্রমণ
সম্বন্ধিত বিষয়ের ওপর নির্দেশিকা
১.
নাগরিক/স্থায়ী বসবাসকারী (রেসিডেন্ট) কে ?
এফ.ই.এম.এ./ফেমা
-১৯৯৯, এর ২(ভি) বিভাগের শর্ত অনুযায়ী একজন ‘ভারতীয়
নাগরিক’
বোলতে
বোঝায় :
একজন
ব্যক্তি ভারতে আর্থিক বছরের অব্যবহিত পূর্ববর্তী একশ বিরাশি দিনের বেশী কালক্রম
বসবাস করছে, কিন্ত নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত করে না :
(ক)
একজন ব্যক্তি যে ভারতের বাইরে চলে গেছে অথবা যে ভারতের বাইরে খাকে, উভয়
ক্ষেত্রে-
ভারতের
বাইরে চাকরী গ্রহণ বা চাকরীর জন্য নির্বাচিত হবার জন্য, অথবা
ভারতের
বাইরে ব্যাবসা চালানোর জন্য অথবা ভারতের বাইরে ব্যক্তিগত বৃত্তি/পেশার জন্য,
অথবা
অন্য
যে কোনো উদ্দেশ্যের জন্য, সেই ধরণের পারিপার্শ্বিক অবস্থায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য
তার ভারতের
বাইরে থাকার অভিপ্রায় নির্দেশ করে ;
(খ)
একজন ব্যক্তি যে ভারতে এসেছে অথবা থাকে, উভয় ক্ষেত্রে, তা না হলে :
ভারতে
চাকরী গ্রহণ বা চাকরীর জন্য নির্বাচিত হবার জন্য, অথবা
ভারতে
ব্যাবসা চালানোর জন্য অথবা ভারতের বাইরে ব্যক্তিগত বৃত্তি/পেশার জন্য,
অথবা
অন্য
যে কোনো উদ্দেশ্যের জন্য, সেই ধরণের পারিপার্শ্বিক অবস্থায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য
তার ভারতের
বাইরে থাকার অভিপ্রায় নির্দেশ করে ;
ভারতের
যে কোনো ব্যক্তি অথবা
যৌথ সংস্থা নথিভুক্ত অথবা সমসংস্থাভুক্ত
ভারতের
বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তির নিজস্ব মালিকানাভুক্ত অথবা তার দ্বারা নিয়ণ্ত্রিত, ভারতে
একটি অফিস, শাখা অথবা এজেন্সি,
ভারতে
বসবাসকারী ব্যক্তির নিজস্ব মালিকানাভুক্ত অথবা তার দ্বারা নিয়ণ্ত্রিত, ভারতের বাইরে
একটি অফিস, শাখা অথবা এজেন্সি ;
২.
একজন ব্যক্তি কোথা থেকে বিদেশী মুদ্রা কিনতে পারে ?
যে
কোনো অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে বিদেশী মুদ্রা কেনা যেতে পারে।
অনুমোদিত ডিলারদের ছাড়াও, পুরোদস্তুর অর্থ পরিবর্তনকারীরাও বাণিজ্যিক ও বেসরকারী
পরিদর্শনের জন্য মুদ্রা বিনিময়ে অনুমতি প্রাপ্ত।
৩.
একজন অনুমোদিত ডিলার কে ?
সাধারণতঃ
একজন অনুমোদিত ডিলার হল, রিজার্ভ ব্যাংকের ১৯৯৯-এর ফেমা,-এর
বিভাগ ১০(১)-এর অন্তর্গত বিদেশী মুদ্রা বিনিময় অথবা বিদেশী নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে
কারবার করার জন্য বিশেষভাবে অনুমোদিত একটি ব্যাংক (www.fedai.org.in
–এ
তালিকা পাওয়া যাচ্ছে )।
৪.
বাণিজ্যিক ভ্রমণের জন্য কত বিনিমেয় মুদ্রা পাওয়া যায় ?
অনুমোদিত
ডিলাররা নেপাল ও ভূটান ছাড়া অন্য যে কোনো দেশে বাণিজ্যিক ভ্রমণের জন্য ২৫,০০০
মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশী মুদ্রা অনুমোদন করতে পারে
।
ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্যে বিদেশে থাকার জন্য সময়ের পরোয়া না করে, বিদেশে ভ্রমণের জন্য
(নেপাল
ও ভূটান ছাড়া), ২৫,০০০ মার্কিন ডলারের অতিরিক্ত বিদেশী মুদ্রা প্রদানের জন্য
রিজার্ভ ব্যঙ্ক থেকে পূর্ববর্তী অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজন হয়।
আন্তর্জাতিক অধিবেশন,
সেমিনার, বিশেষজ্ঞের ট্রেনিং, শিক্ষামূলক ভ্রমণ, শিক্ষানবিশী ট্রেনিং ইত্যদিতে
যোগদানের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত ভ্রমণ, বাণিজ্যিক ভ্রমণ হিসাবে আচরিত হয়।
ডাক্তারি চিকিত্সার জন্য এবং/অথবা চেক আপের জন্য বিদেশ ভ্রমণও এই শ্রেণীর
অন্তর্গত।
প্রসঙ্গক্রমে,
নেপাল ও ভূটানে কোনো প্রকারের ভ্রমণের জন্য অথবা নেপাল ও ভূটানে বসবাসকারী ব্যক্তির
সঙ্গে কোনো রকম লেনদেনের জন্য বিদেশী মুদ্রার ব্যবহার ও প্রচার অনুমোদিত
নয়।
৫.
ভারতের বাইরে ডাক্তারি চিকিত্সার জন্য কেউ অতিরিক্ত বিদেশী মুদ্রা পেতে পারে কি
?
অনুমোদিত
ডিলার ১০০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অথবা এর সমতুল্য বিদেশী মুদ্রা ভারতীয়
আবাসিকদের বিদেশে চিকিত্সার জন্য, ভারতে /বিদেশে হসপিটাল/ডাক্তারের কাছ থেকে
ব্যায়ের কোনো রকম সম্ভাব্য হিসাবের প্ররোচনা ছাড়াই অত্যাবশ্যক বিষয়ের বিবরণের ওপর
তার ব্যক্তিগত ঘোষণার(সেল্ফ ডিক্লারেশনের) ভিত্তিতে প্রদান করতে পারে।
কোনো ব্যক্তি ডাক্তারি
চিকিত্সার জন্য বিদেশে যাত্রা করলে উপরিউক্ত সীমার বেশী বিদেশী মুদ্রা পেতে পারে,
যদি অনুরোধটি ভারতের/বিদেশের কোনো হাসপাতাল/ ডাক্তারের কাছ থেকে প্রাপ্ত একটি
সম্ভাব্য হিসেব(এস্টিমেট) দ্বারা সমর্থনযোগ্য হয়।
এই
মুদ্রা হল চিকিত্সা সম্পর্কিত খরচ মেটানোর জন্য এবং উপরের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে
তদতিরিক্ত টাকার পরিমাণ উল্লিখিত
হয়েছে।
৬.
ভারতের বাইরে পড়াশুনা করার জন্য কত মুদ্রা পাওয়া যায় ?
যে
ছাত্ররা ভারতের বাইরে পড়াশুনা করতে যায় তারা অনাবাসী ভারতীয় হিসাবে আচরিত হয় এবং
ফেমা –এর
অন্তর্গত অনাবাসী ভারতীয়-দের প্রাপ্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে
উপযুক্ত।
এর
সঙ্গে,
তারা ১০০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রেমিটেন্স ভারতের নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে তার
ব্যক্তিগত ঘোষণার (সেল্ফ ডিক্লারেশনের) ভিত্তিতে ভরণপোষনের সহায়ক রূপে পেতে পারেন,
যেটি তাদের পড়াশুনার সহায়ক
রেমিটেন্স হিসাবেও অন্তর্ভূক্ত হতে পারে। ভারতে বসবাসকারী হিসাবে বিদ্যার্থীদের
দ্বারা লব্ধ শিক্ষাসংক্রান্ত এবং অন্যান্য ঋণ
বারবার নেবার জন্য অনুমোদন পেতে পারে।
ছাত্রদের
শিক্ষামূলক কাজের দরুণ তাদের বিদ্যমান রেমিটেন্স সুবিধার ক্ষেত্রে কোনো তরলীকরণ
নেই।
৭.
ভারতের বাইরে কোনো দেশে বেসরকারী ভ্রমণের জন্য একজন ব্যক্তি কত বিদেশী মুদ্রা কিনতে
পারে ?
বিদেশে
বেসরকারী ভ্রমণের প্রসঙ্গে, যেমন, পর্যটনের উদ্দেশ্যে, ইত্যাদির জন্য অনুমোদিত
ডিলারের কাছ থেকে যে কোনো এক ক্যালেণ্ডার বর্ষে হয়তো ১০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত
পেতে পারে।
১০,০০০
মার্কিন ডলারের এই সিলিংটি (সর্ব্বোচ্চ স্তরটি) মোট পরিমাণের ওপর প্রযোজ্য এবং যদি
এক ক্যালেণ্ডার বর্ষে সদ্ব্যাবহৃত সংগৃহীত বিদেশী মুদ্রা নির্দিষ্ট সিলিং (সর্বোচ্চ
স্তর)-কে অতিক্রম না করে, তাহলে এক বা একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য বিদেশী মুদ্রা
পাওয়া যেতে পারে (এই সুবিধাটি পূর্ববর্তী কালে বি.টি.কিউ অথবা এফ.টি.এস হিসাবে
পরিচিত ছিল)
।
বিদেশী মুদ্রা সমেত কোনো ব্যক্তির চাকরী অথবা শিক্ষার জন্য বা বসবাসের জন্য বিদেশে
গমন সহ, যে কোনো উদ্দেশ্যে বিদেশে ভ্রমণের জন্য ১০,০০০
মার্কিন
ডলারের এই নির্দিষ্ট
সীমা সদ্ব্যাবহৃত হতে পারে।
যাই
হোক, যে কোনো উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, নেপাল এবং/অথবা ভূটান ভ্রমণের জন্য কোনো
বিদেশী মুদ্রা উপলব্ধ নয়
।
৮.
একজন ব্যক্তির চাকরীর উদ্দেশ্যে বিদেশে যাত্রার জন্য কত বিদেশী মুদ্রা সহজলভ্য
?
চাকরীর
উদ্দেশ্যে বিদেশে গমণকারী ব্যক্তি ভারতে ব্যক্তিগত ঘোষণার(সেল্ফ-ডিক্লারেশনের)
ভিত্তিতে যে কোনো অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে ১০০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত পেতে
পারে
।
৯.
প্রবাসে বসবাসের উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাত্রার জন্য কত বিদেশী মুদ্রা
সহজলভ্য ?
প্রবাসে
বসবাসের উদ্দেশ্যে বিদেশে গমণকারী ব্যক্তি ভারতে ব্যক্তিগত
ঘোষণার(সেল্ফ-ডিক্লারেশনের) ভিত্তিতে যে কোনো অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে ১০০,০০০
মার্কিন ডলার পর্যন্ত পেতে পারে।
এই অর্থ
বসবাসকারী দেশে কেবলমাত্র আনুসাঙ্গিক খরচ নির্বাহের জন্য।
উপযুক্ত যোগ্যতা অর্জনের জন্য বা রোজগারের জন্য অথবা প্রবাসে বসবাসের জন্য ঋণ
হিসাবে ভারতের বাইরে কোনো বিদেশী
মুদ্রা প্রেরণ করা যাবে না ।
১০.
ভ্রমণের এমন কি কোনো বিশেষ শ্রেণী আছে যার জন্য রিজার্ভ ব্যাংক অথবা ভারত সরকারের
পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ প্রয়োজন ?
নাচের
দলের ক্ষেত্রে, কলাকুশলী, ইত্যাদিরা, যারা বিদেশে সাংস্কৃতিক ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক,
তাদের মিনিস্ট্রি অফ হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট, গভর্নমেন্ট অফ ইণ্ডিয়া, নিউ
দিল্লী থেকে পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
১১.
বিদেশ ভ্রমণের জন্য বিদেশী বিনিময় মুদ্রা ক্রয় করার সময় প্রচলিত বিদেশী নোটে কত
বিদেশী বিনিময় মুদ্রা ক্রয় করা যেতে পারে ?
ভ্রমণকারীরা
২০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত প্রচলিত বিদেশী নোট/মুদ্রা ক্রয় করতে
অনুমোদিত।
বাকী অর্থ ট্র্যাভেলার্স চেক বা ব্যাঙ্কার্স ড্রাফ্ট হিসাবে নেওয়া যেতে
পারে।
এই
দুটো ছাড়া (এ) ইরাক এবং লিবিয়া গমণকারী যাত্রীরা ফরেন
কারেন্সি নোট এবং মুদ্রার আকারে ৫০০০
মার্কিন ডলার বা তার সমতুল্য বিদেশী মুদ্রা প্রাপ্ত করতে পারে, তার বেশী নয়
;
(বি) ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরাণ, রাশিয়া ফেডারেশন এবং স্বাধীন রাষ্ট্রের কমনওয়েলথের অন্যান্য
গণতণ্ত্রে গমণকারী
যাত্রীরা
ফরেন কারেন্সি নোট এবং মুদ্রার আকারে প্রচারিত
সমগ্র বিদেশী মুদ্রা প্রাপ্ত করতে পারে।
১২.
শিক্ষাগ্রহণের জন্য বিদেশে গমণকারী ব্যক্তির প্রতি কি কোনো নিয়ম প্রযোজ্য
?
বিদেশে
শিক্ষাগ্রহণের উদ্দেশ্যে, ভরণপোষণের খরচের জন্য বিদেশী মুদ্রা (১)
২০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ফরেন কারেন্সি (প্রচলিত বিদেশী নোট) হিসাবে (২)
বাকী বিদেশী মুদ্রা বিদেশে পরিশোধনীয় ট্র্যাভেলার্স
চেক বা ব্যাঙ্কার্স ড্রাফ্ট হিসাবে নেওয়া যেতে পারে।
১৩.
বিদেশে ভ্রমণের জন্য ব্যক্তি আগাম কত বিদেশী মুদ্রা ক্রয় করতে পারে
?
যে
কোনো উদ্দেশ্যে অর্জিত বিদেশী মুদ্রা ক্রয় করবার ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করতে
হবে।
যদি
কোনো কারণে বিদেশী
মুদ্রা ক্রয় করবার ৬০ দিনের মধ্যে
ব্যবহার করা সম্ভব না হয়
তাহলে এটি কোনো অনুমোদিত ডিলারের কাছে সমর্পণ করে দিতে হবে।
১৪.
বিদেশে ভ্রমণের জন্য কোনো দ্রব্য ক্রয় করবার সময় বিদেশী মুদ্রার সমতুল্য পুরো নগদ
টাকা দিয়ে ক্রয় করতে পারে ?
বিদেশে
ভ্রমণের জন্য ব্যাংকের কাছ থেকে নগদ পরিমাণ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে
বিদেশী মুদ্রা ক্রয় করা
যেতে পারে।
যাই হোক, যদি সমতুল্য পরিমাণ টাকা ৫০,০০০ টাকাকে অতিক্রম করে, তাহলে সম্পূর্ণ
প্রদত্ত টাকা কেবলমাত্র ক্রসড চেক/ব্যাঙ্কার্স চেক/পে অর্ডার/ডিমাণ্ড ড্রাফ্ট-এর
মাধ্যমে করা হবে।
১৫.
ভারতে প্রত্যাবর্তন করেছে এমন ভ্রমণকারীর জন্য বিদেশী মুদ্রা ফেরত দেবার কোনো
নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে কি ?
বিদেশ
যাত্রার থেকে প্রত্যাবর্তনের পরে ভ্রমণকারীদের ফরেন কারেন্সির (প্রচলিত বিদেশী
নোটের) আকারে গচ্ছিত রাখা অবশিষ্ট বিদেশী মুদ্রা, প্রত্যাবর্তনের ৯০ দিনের মধ্যে
এবং
ট্র্যাভেলার্স চেক ১৮০ দিনের মধ্যে
প্রত্যর্পণ করতে হবে।
যাই হোক,
তারা ২০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিদেশী মুদ্রা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ফরেন
কারেন্সির (প্রচলিত বিদেশী নোটের) আকারে বা টি.সি–এর
আকারে ধরে রাখতে পারে অথবা তাদের আর.এফ.সি (ডোমেস্টিক) অ্যাকাউন্টে কোনো নির্দিষ্ট
সীমা ছাড়াই জমা করতে পারে ।
১৬.
ভারতে প্রত্যাবর্তনের পরে কেউ কি বিদেশী মুদ্রা ধরে রাখতে পারে ?
কোনো
ভারতীয় নাগরিক ২০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ফরেন কারেন্সি (প্রচলিত বিদেশী নোট) বা
তার সমতুল্য পরিমাণ ধরে রাখতে অথবা তাদের আর.এফ.সি. (ডোমেস্টিক) অ্যাকাউন্টে জমা
করতে অনুমতি প্রাপ্ত যদি সে নিম্নলিখিত উপায়ে
বিদেশী
মুদ্রা উপার্জন করে-
এ.
বিদেশ যাত্রাকালে কাজের জন্য মাইনে হিসাবে, ভারতে কোনো ব্যাবসার থেকে পাওয়া নয় বা
ভারতে কোনো কিছু করে নয় ;
অথবা
বি.
সম্মান-দক্ষিণা অথবা উপহার অথবা কর্ম ত্যাগের পাওনা বা ভারতের নাগরিক নয় এমন
ব্যক্তির এবং ভারতে ভ্রমণরত ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতামূলক পাওনা
হিসাবে ;
অথবা
সি. ভারতের বাইরে কোনো স্থানে ভ্রমণকালে
সম্মান-দক্ষিণা অথবা উপহার হিসাবে ;
অথবা
ডি.
বিদেশ ভ্রমণের জন্য একজন অনুমোদিত ব্যক্তির কাছ থেকে এবং তার থেকে জমিয়ে রাখা অর্থ
প্রদান করলে
১৭.
একজন অনুমোদিত ডিলারের কাছে বিদেশী কয়েন(মুদ্রা)-ও কি প্রত্যর্পণ করা প্রয়োজন
?
নাগরিকদের
ওপর বিদেশী কয়েন রাখবার বিষয়ে কোনো বাধানিষেধ নেই।
১৮.
ভারতের বাইরে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তিকে উপহার/দান হিসাবে একজন কত বিদেশী মুদ্রা
প্রেরণ করতে পারে ?
ভারতের
যে কোনো নাগরিক যে কোনো এক বছরে ভারতের বাইরে বসবাসকারী ব্যক্তিকে উপহার হিসাবে
অথবা ভারতের বাইরে কোনো দাতব্য/শিক্ষামূলক/ধর্মীয়/সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানকে ৫,০০০
মার্কিন ডলার পর্যন্ত প্রেরণ করতে পারে।
প্রেরিত টাকার পরিমাণ উল্লিখিত সীমা লঙ্ঘন করলে রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে পূর্ব্ব
অনুমোদন গ্রহণ করা প্রয়োজন।
১৯.
বিদেশী মুদ্রা লেনদেনের কর্মভার গ্রহণের জন্য কোনো ব্যক্তি কি ইন্টারন্যাশনাল
ক্রেডিট কার্ড (আই.সি.সি.) ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত ?
ইন্টারন্যাশনাল
ক্রেডিট কার্ডস (আই.সি.সি)/এ.টি.এম.এস./ডেবিট কার্ড ব্যক্তিগত পাওনা মেটানোর জন্য,
যেমন বিদেশী পত্রিকার জন্য সাবস্ক্রিপশন (প্রদত্ত অর্থ), ইন্টারনেটের জন্য
সাবস্ক্রিপশন (প্রদত্ত অর্থ), ইত্যাদি এবং বিভিন্ন উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিদেশ ভ্রমণের
জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল
ক্রেডিট কার্ডস -এর ওপর আপনার
বিদেশী মুদ্রার অধিকার কেবলমাত্র কার্ড প্রদানকারী কোম্পানীর দ্বারা সীমাবদ্ধ
ঋণ-সীমার মধ্যে সীমিত।
ইন্টারন্যাশনাল
ক্রেডিট কার্ডস -র দ্বারা আপনি ১)
বিদেশে
থাকাকালীন ব্যায়বহন/কেনাকাটা
করতে পারেন ২) ভারতে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুস্তক এবং অন্যান্য দ্রব্য ক্রয়ের পাওনা বিদেশী মুদ্রায়
মেটাতে পারেন ।
আপনার যদি ভারতে বা বিদেশের ব্যাঙ্কে একটি ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে
আপনি বিদেশী ব্যাংকের এবং নামকরা প্রসিদ্ধ
এজেন্সীর থেকেও ইন্টারন্যাশনাল
ক্রেডিট কার্ডস অর্জন করতে পারেন।
বিদেশী
মুদ্রায় পাওনা মেটানোর জন্য এই উপকরণের ব্যাবহার নেপাল এবং ভূটানের ক্ষেত্রে
অনুমোদিত নয়।
২০.
ভারতে আসবার সময় কত ভারতীয় মুদ্রা আনা যেতে পারে ?
বিদেশ
থেকে ভারতে আসবার সময় একজন ব্যক্তি তার সঙ্গে নিম্নলিখিত সীমার মধ্যে প্রচলিত
ভারতীয় মুদ্রা আনতে পারে:
এ.
নেপাল অথবা ভূটান ছাড়া অন্য যে কোনো দেশ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত, এবং
বি.
১০০ টাকার অতিরিক্ত নয় এমন যে কোনো মূল্যের অর্থরাশি নেপাল অথবা ভূটান
থেকে।
২১.
বিদেশ যাত্রার সময় একজন ব্যক্তি, কত বিদেশী মুদ্রা, নগদ হিসাবে নিয়ে যেতে পারে
?
একজন
অনুমোদিত ডিলার অথবা মানি চেঞ্জার(অর্থ পরিবর্তনকারী)-র কাছ থেকে নিয়মানুসারে কেনা
বিদেশী মুদ্রা একজন নাগরিক স্বচ্ছন্দে বহন করতে পারে।
তারা, যাই হোক, বিদেশী মুদ্রা প্রচলিত নোট/মুদ্রার আকারে
কেবলমাত্র
২০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অথবা তার সমতুল্য অর্থরাশি বহনের জন্য
অনুমোদিত।
বাকী
অর্থ ট্র্যাভেলার্স চেক বা ব্যাঙ্কার/স ড্রাফ্ট হিসাবে বহন করা যেতে
পারে।
(এই সম্পর্কে ১১ নম্বর বিষয়টি দেখুন)
২২.
ভারতে আসবার সময় কত বিদেশী মুদ্রা আনা যেতে পারে ?
একজন
ব্যক্তি বিদেশ থেকে ভারতে আসবার সময় অপরিসীম বিদেশী মুদ্রা আনতে পারে।
যাই হোক,
যদি বিদেশী মুদ্রার মোট পরিমাণের মূল্য প্রচলিত বিদেশী নোট, ব্যাংক নোট, অথবা
ট্র্যাভেলার্স
চেক হিসাবে আনা হয় যা ১০,০০০ মার্কিন ডলারের বেশী বা সমতুল্য এবং/অথবা প্রচলিত
বিদেশী মুদ্রার মূল্য ২৫,০০০ মার্কিন ডলার অতিক্রম করে বা তার সমতুল্য হয়, তা হলে
ভারতে পৌঁছানোর সময় বিমানবন্দরে কাস্টমস্ অথরিটির কারেন্সী ডিক্লেয়ার ফর্ম
(সি.ডি.এফ.)-এ এর ঘোষণা করতে হবে।
২৩.
একটি উপহারের মোড়ক ভারতের বাইরে প্রেরণ করার সময় কি কোনো রপ্তানির প্রক্রিয়ার
অনুসরণ করার প্রয়োজন আছে ?
একজন
ভারতীয় নাগরিক ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যের যে কোনো উপহার সামগ্রী
প্রেরণ(রপ্তানী) করতে পারে যদি রপ্তানীকৃত সামগ্রীটি এখনও পর্যন্ত বর্তমান ফরেন
ট্রেড পলিসির অন্তর্গত নিষিদ্ধ সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত না হয়।
২৪.
বিদেশে যাবার সময় একজন কত অলংকার সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে ?
ভারতের
বাইরে ব্যক্তিগত অলংকার নিয়ে যাবার বিষয়টি ভারত সরকারের ফরেন ট্রেড পলিসির
পরিকাঠামোর অন্তর্গত ব্যাগেজ রুল দ্বারা পরিচালিত হয়।
এই
ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংকের কোনো অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
২৫.
একজন নাগরিক একজন প্রবাসীকে আ়ঞ্চলিক আতিথেয়তা দেখাতে পারে ?
একজন
ভারতীয় নাগরিক ভারতের
বাইরে বসবাসকারী একজন ব্যক্তি ষে ভারত ভ্রমণে
এসেছে
তার আহার, বাসস্থান এবং তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট সেবার অথবা ভারতের মধ্যে ও ভারত থেকে
তাদের ভ্রমণের খরচ মেটানোর জন্য ভারতীয় টাকায় যে কোনো পাওনা মেটাতে
অনুমোদিত।
২৬.
নাগরিকরা তাদের ভ্রমণকালে ভারতে না আসলেও কি ভারতে বিমানযাত্রার টিকিট ক্রয় করতে
পারে ?
নাগরিকরা
হয়ত যে কোনো তৃতীয় দেশে যাবার জন্য তাদের টিকিট ভারতে কিনতে পারে।
সেটা হল
নাগরিকরা ভ্রমণের জন্য তাদের টিকিট কিনতে পারে, উদাহরণ স্বরূপ, স্বয়ং ভারতে
ডোমেস্টিক/বিদেশী এয়ারলাইনের মাধ্যমে লণ্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক পর্যন্ত।
২৭.
ভারতে একজন নাগরিক ফরেন কারেন্সি নামের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে
?
ভারতীয়
নাগরিক ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট বজায় রাখবার জন্য নিম্নলিখিত দুটি স্কীমের অধীনে
অনুমোদিত :
ক)
ই.ই.এফ.সি অ্যাকাউন্ট :-
ভারতে
একজন অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে নাগরিক ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে বিদেশ থেকে
প্রাপ্ত বিদেশী কারেন্সি রেমিটেন্সের ৫০% পর্যন্ত
ধরে রাখতে পারে, যেমন, ই.ই.এফ.সি অ্যাকাউন্ট।
ই.ই.এফ.সি
অ্যাকাউন্টে রাখা ফাণ্ড কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পরিচালনায় ব্যবহৃত হয় এবং অনুমোদিত
ক্যাপিট্যাল অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্যও সময়ে সময়ে সরকার/আর.বি.আই দ্বারা প্রকাশিত
বর্তমান নিয়ম/প্রবিধান/বিজ্ঞপ্তি/নির্দেশপত্র বিশেষভাবে উল্লিখিত।
খ)
আর.এফ.সি. অ্যাকাউন্ট :-
প্রত্যাবর্তনকারী
ভারতীয়রা, অর্থাত্ সেই ভারতীয়রা, যারা প্রথমে অনাবাসী ছিলেন, এবং এখন ফিরে আসছেন,
তারা ভারতে তাদের ফরেন কারেন্সি ধন রাখবার জন্য একটি অনুমোদিত ডিলারের সঙ্গে একটি
রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খোলা, রক্ষা করা এবং পরিচালনা করার জন্য
অনুমোদিত।
ভারতের বাইরে রাখা সম্পত্তি প্রত্যাবর্তনের সময় এই
অ্যাকাউন্টে জমা হতে পারে।
বিদেশী মুদ্রা (১) উপহার
হিসাবে
প্রাপ্ত বা অর্জিত অথবা এফ.ই.এম.এ./ ফেমা,
১৯৯৯-এর বিভাগ ৬-এর সহ-বিভাগ (৪)- উল্লিখিত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে উত্তরাধিকার
সুত্রে প্রাপ্ত অথবা (২)
আইনের
বিভাগ ৯-এর ধারা (সি) অনুযায়ী অথবা সেখান থেকে উপহার হিসাবে অথবা উত্তরাধিকার
সুত্রে অর্জিত হলেও এই অ্যাকাউন্টে তা জমা করতে পারে।
আর.এফ.সি.
অ্যাকাউন্টের ফাণ্ড ভারতের বাইরে বিনিয়োগের ওপর কোনো বাধানিষেধ সহ বিদেশী কারেন্সি
ব্যালেন্স ব্যবহারের জন্য সমস্ত রকম বাধা নিষেধ থেকে মুক্ত।
এই সুবিধা নাগরিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য যদি বিশেষভাবে নির্দেশিত নির্দিষ্ট ধরণের
ফাণ্ড/ অ্যাকাউন্টের
বাইরে ওই
ধরণের কোনো অ্যাকাউন্টে
বিদেশী মুদ্রা জমা হয় তাহলে।
গ).
আর.এফ.সি. (ডোমেস্টিক)
অ্যাকাউন্ট :-
একজন
ভারতায় নাগরিক ভারতে একজন অনুমোদিত ডিলারের সাথে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি
(ডোমেস্টিক)/ আর.এফ.সি. অ্যাকাউন্ট
চালু করতে, ধরে রাখতে এবং বজায় রাখতে পারে, বিদেশী মুদ্রার মধ্যে কারেন্সি নোট,
ব্যাংক নোট, ট্র্যাভেলার্স
চেকের আকারে
অর্জিত, যে কোনো উত্স থেকে যেমন, বিদেশে কর্ম পরিত্যাগের জন্য প্রাপ্ত অর্থ,
সম্মান-দক্ষিণা হিসাবে, উপহার, কর্ম পরিত্যাগ অথবা ভারতের বাইরে বসবাসকারী যে কোনো
ব্যক্তির সঙ্গে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতার নিষ্পত্তি হিসাবে।
এই
অ্যাকাউন্টে বিদেশী
মুদ্রার মধ্যে পণ্যদ্রব্যের রপ্তানী করা এবং /অথবা কর্ম সম্পাদন, রয়্যালটি,
সম্মান-দক্ষিণা
ইত্যাদি, এবং /অথবা নিকট আত্মীয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত উপহার (কোম্পানীজ্ এ্যাক্টে
বর্ণিত)এবং স্বতন্ত্র্য নাগরিকের দ্বারা স্বাভাবিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে
ভারতে পুণঃপ্রেরণের মাধ্যমে বিদেশী
মুদ্রা
অর্জণের দ্বারা
আরও জমা হতে পারে/চালু হতে পারে।
২৮.
ভারতীয় নাগরিক ভারতের বাইরে সম্পত্তি রাখতে পারে ?
১৯৯৯
সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট-এর বিভাগ (৬)-এর সহ-বিভাগ ৪-এর শর্ত
অনুযায়ী, একজন ভারতীয় নাগরিক বিনা বাধায় বিদেশী কারেন্সি রাখতে পারে, কিনতে পারে,
হস্তান্তরিত করতে পারে অথবা বিদেশী কারেন্সি, বিদেশী সিকিউরিটি অথবা ভারতের বাইরে
অবস্থিত যে কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করতে পারে যদি এই ধরণের কারেন্সি,
সিকিউরিটি, সম্পত্তি বিদেশে থাকাকালীন একজন ব্যক্তির দ্বারা অর্জিত, রক্ষিত অথবা
উপার্জিত হয় অথবা ভারতের বাইরে অবস্থিত ব্যক্তির কাছ থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে
প্রাপ্ত হয়।
২.
২৫,০০০ মার্কিন ডলারের লিবারাইজড্
রেমিটেন্স স্কিম
২৯.
২৫,০০০ মার্কিন ডলারের লিবারাইজড্ রেমিটেন্স স্কিম কি ?
এই
নতুন সুবিধাটি সমস্ত স্বতন্ত্র্য নাগরিকদের মধ্যে প্রযোজ্য হয়েছে, যাতে তারা ২৫,০০০
মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্খ প্রতি ক্যালেণ্ডার বর্ষে যে কোনো অনুমতিপ্রাপ্ত কারেন্ট
অথবা ক্যাপিট্যাল অ্যাকাউন্টের বা উভয়ের সম্মিলিত লেনদেনের জন্য বিনা বাধায় প্রেরণ
করতে পারে।
৩০.
কে এই লিবারাইজড্ রেমিটেন্স ফেসিলিটি সদ্ব্যবহার করার যোগ্য ?
কেবলমাত্র
স্বতন্ত্র্য নাগরিকরা এই সুবিধার সদ্ব্যবহার করতে পারে।
৩১.
রেমিটেন্স-এর জন্য বারংবার প্রেরণের কোনো নিয়ম আছে কি ?
একজন
নাগরিক এক ক্যালেণ্ডার বর্ষে একবার স্কিমের অন্তর্গত রেমিটেন্স ফেসিলিটির
সদ্ব্যবহার করতে পারে।
৩২.
কি কি উদ্দেশ্য স্কিমের অধীনে রেমিটেন্স (আভ্যন্তরীণ টাকাকড়ি প্রেরণ) করা যায়
?
এই
সুবিধাটি যে কোনো অনুমোদনযোগ্য কারেন্ট বা ক্যাপিট্যাল অ্যাকাউন্টের লেনদেন বা
উভয়ের সমন্বয়ে রেমিটেন্সের জন্য সহজলভ্য।
এটি
বিশেষভাবে নিষিদ্ধ(শিডিউল ১) অথবা ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত (শিডিউল ২) ফরেন
এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট ( কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ট্রানজ্যাকশন) রুল, ২০০০-এর জন্য
উপলব্ধ নয়।
৩৩.
বিদেশের স্থাবর সম্পত্তি এবং অন্যান্য সম্পত্তি অর্জনের জন্য নাগরিক এই সুবিধা লাভ
করতে পারে কি ?
হ্যাঁ।
যে
কোনো ব্যক্তি বিনা বাধায় আর.বি.আই.-এর পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই ভারতের বাইরের স্থাবর
সম্পত্তি, শেয়ার অথবা অন্য সম্পত্তি অর্জন করার এবং ধরে রাখবার জন্য এই স্কিম
ব্যবহার করতে পারে ।
৩৪.
কোনো ব্যক্তি এই স্কিমের অধীনে রেমিটেন্স তৈরীর জন্য বিদেশে ফরেন কারেন্সি
অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে কি ?
হ্যাঁ।
যে কোনো ব্যক্তি বিনা বাধায় আর.বি.আই.-এর পূর্ব অনুমোদন ছাড়াই এই
স্কিমের অধীনে
রেমিটেন্স
তৈরীর জন্য ভারতের
বাইরে
ফরেন
কারেন্সি অ্যাকাউন্ট খুলতে, ধরে রাখতে এবং পরিচালনা করতে পারে
।
এই
অ্যাকাউন্টটি স্কিমের অন্তর্ভুক্ত রেমিটেন্সের থেকে উত্পন্ন অথবা এর সঙ্গে
সম্পর্কিত যে কোনো লেনদেন সম্পাদন করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
৩৫.
২০০০ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট (কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ট্রানজ্যাকশন)-এর
শিডিউল ৩ –এর
অন্তর্গত বেসরকারী/বাণিজ্যাক ভ্রমণ, উপহার, দান, শিক্ষা, ডাক্তারি চিকিত্সা
ইত্যাদি/ জিনিষপত্রের জন্য বর্তমানে বিদ্যমান সুবিধার ওপর স্কিমের কি প্রভাব ?
এ
ছাড়াও স্কিমের অন্তর্গত এই সুবিধাটি ২০০০ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট
(কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ট্রানজ্যাকশন)-এর
অধীনে ইতিপূর্বেই উপলব্ধ হয়েছে।
৩৬.
একজন ব্যক্তি স্কিমের অধীনে যে কোনো দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে কি
?
প্রত্যক্ষ
অথবা পরোক্ষ, কোনো ভাবেই ভূটান, নেপাল, মরিশাস অথবা পাকিস্তানে রেমিট্যান্স পাঠানো
যায় না।
এই সুবিধাটি
ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফ.এ.টি.এফ.) দ্বারা, সময়ে সময়ে অ-সহযোগী দেশ
বা রাষ্ট্র হিসাবে চিহ্ণিত দেশে প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ, কোনো ভাবেই রেমিট্যান্স
পাঠানোর জন্য উপলব্ধ নয়।
এই
সব দেশের/রাজ্যের বর্তমান তালিকার জন্য www.fatf-gafi.org.
ওয়েবসাইটটি
দেখুন।
এ
ছাড়াও, সময়ে সময়ে, আর.বি.আই. দ্বারা ব্যাংকগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ
বিপদজনক হিসাবে শণাক্ত অথবা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত স্বতন্ত্র্য
ব্যক্তি এবং এনটাইটিকে সুবিধার অন্তর্ভুক্ত রেমিটেন্স পাঠানো যায় না।
৩৭.
কি কি শর্ত/দাবি পূরণে অর্থ প্রেরক সম্মত হবে ?
ব্যক্তিকে
একটি এ.ডি.-র একটি শাখা অফিস কাজের জন্য মনোনীত করতে হবে, যার দ্বারা স্কিমের
অধীনের সমস্ত রেমিটেন্স প্রেরণ করা হবে।
তাকে একটি বিশেষভাবে নির্দিষ্ট ফরম্যাটে একটি
অ্যাপ্লিকেশন-কাম-ডিক্লারেশন তৈরী করতে হবে রেমিটেন্সের উদ্দেশ্যের জন্য এবং তার
নিজস্ব যে ফাণ্ড আছে তা ঘোষণা করার জন্য এবং সেগুলি নিষিদ্ধ কাজে ব্যবহৃত হবে না বা
স্কিমের অধীনে চালিত হবে না তা ঘোষণা করার জন্য।
৩৮.
যদি ২৫,০০০ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের মূল্য এক বছরের মধ্যে বেড়ে যায়, তাহলে কি কেউ
লভ্যাংশ হিসাব করতে পারে এবং পুণরায় বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারে ?
বিনিয়োগকারী
বিদেশে লাভ অথবা ক্ষতির হিসাব বিনা বাধায় করতে পারে এবং পুণরায় বিদেশে বিনিয়োগ করতে
পারে।
বিদেশে প্রেরিত ফাণ্ড পুণঃ প্রেরণের জন্য তার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা
নেই।
৩৯.
একজন স্বতন্ত্র্য ব্যক্তি, যে পুণঃপ্রেরিত অর্থ ক্যালেণ্ডার বর্ষ চলা কালে
পাঠিয়েছে, পুণরায় এই সুবিধার সদ্ব্যবহার করতে পারে কি ?
ক্যালেণ্ডার
বর্ষ চলা কালে একবার ২৫,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্খ রেমিটেন্স করা হলে, এই রুটের
অধীনে সে আর কোনো রেমিটেন্স পুণরায় করতে পারবে না, এমন কি যদি বিনিয়োগের লাভ দেশে
ফিরিয়ে আনা হয় তাহলেও।
৪০.
রেমিটেন্স কেবলমাত্র মার্কিন ডলারে করা যায় কি ?
একটি
ক্যালেণ্ডার বর্ষে রেমিটেন্স ২৫,০০০ মার্কিন ডলারের সমতুল্য যে কোনো কারেন্সিতে হতে
পারে।
৪১.
গত বছর, বিনিয়োগকারী নাগরিক বিদেশী তালিকাভুক্ত সেই ফার্মের ইকুইটিতে বিনিয়োগ করতে
পেরেছিল, যে ফার্মগুলি ভারতীয় তালিকাভুক্ত ফার্মে কমপক্ষে ১০ %
ধরে রেখেছে ।
এই শর্ত কি এখনও বলবত্ আছে ?
যে
চুক্তি অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা বিদেশী তালিকাভুক্ত ফার্মের ইকুইটিতে , যে গুলি
ভারতীয় তালিকাভুক্ত ফার্মে কমপক্ষে ১০ %
ধরে রাখে, তাতে বিনিয়োগ করতে পারে, আমাদের ২০০৩ সালের ১৩ই জানুয়ারী তারিখে প্রকাশিত
এ.পি.(ডি.আর.আই.সিরিজ)-এর বিজ্ঞপ্তি নম্বর ৬৬ অনুযায়ী তৈরী সেই চুক্তিটি অতিরিক্ত
সুবিধা হিসাবে চালু আছে।
বর্তমানে প্রচলিত লিবারাইজড রেমিটেন্স স্কিমের অধীনে, এই ধরণের কোনো চুক্তি/শর্ত
তৈরী করা হয় নি।
৩.
আর্থিক মধ্যস্থকারী দালালদের বিশেষ স্কিম চালু করার প্রস্তাব, স্কিমের নিরাপত্তার
বিষয়ে নির্দেশিকা
৪২.
মক্কেলদের বিদেশে বিনিয়োগ সহজলভ্য করানোর জন্য দালালদের কি কোনো নির্দিষ্ট বিশেষ
অনুমতি নেবার প্রয়োজন আছে ?
ভারতে
যে সব ব্যাংকের সক্রিয় উপস্থিতি নেই সেই সব ব্যাংকের তাদের বিদেশী শাখায় জমা করার
আবেদন/অনুরোধ করার জন্য অথবা বিদেশী মিউচুয়াল ফাণ্ডে এজেন্ট হিসাবে কাজ করার জন্য
বা অন্য যে কোনো বিদেশী আর্থিক পরিষেবা প্রাদনকারী কোম্পানীর জন্য রিজার্ভ ব্যাংকের
কাছ থেকে পূর্ব অনুমোদন নেবার প্রয়োজন আছে।
৪৩. একজন স্বতন্ত্র্য ব্যক্তি বিনিয়োগ
করতে পারে এমন ঋণের ধরণ/বৈশিষ্ট্য অথবা ইকুইটির দালালির ওপর কোনো বিধিনিষেধ আছে কি
?
২৫,০০০
মার্কিন ডলারের লিবারাইজড্ রেমিটেন্স স্কিমের অধীনে একজন স্বতন্ত্র্য ব্যক্তির
বিনিয়োগের বৈশিষ্ট্যের ওপর কোনো মূল্যনির্ধারণ বা নির্দেশিকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া
হয় নি।
যাই
হোক,
স্বতন্ত্র্য
বিনিয়োগকারীরা
যেখানে বিনিয়োগ করবার জন্য বিচার বিবেচনা করেছেন সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার সময়
তাদের সরাসরিভাবে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে যথাযথ খোঁজখবর নেওয়া বাঞ্ছনীয় বলে
প্রত্যাশা করা যায়
।
৪৪.
যদি নাবালক নাগরিক এই ধরণের ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট চালু করতে, বজায় রাখতে এবং
ধরে রাখতে অনুমোদিত হয় তাহলে দেশের স্থানীয় আইন অনুযায়ী বিদেশী শাখায় এটি কি
অনুমোদিত ?
কোনো
কারণে যদি রেমিটেন্স একজন নাবালিকের তরফ থেকে করা হয় তাহলে বাধ্যতামূলক ঘোষণার
বিষয়ে স্থিরকৃত আইনি অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক অপরিহার্য পদক্ষেপ নিতে
পারে।
৪৫.এই
ধরণের জমা আমানতের পরিবর্তে হয় ভারতীয় টাকাতে নয়তো বিদেশী কারেন্সিতে ঋণের সুবিধা
অনুমোদনযোগ্য হবে কি ?
না।
স্কিমটি জমা আমানতের জামিনের পরিবর্তে ঋণের সুবিধা বাড়ানোর জন্য বিবেচনা করে
না।
৪৬.
ভারতে
ব্যাঙ্কার
স্কিমের অধীনে নাগরিকদের জন্য ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারে কি
?
না।
স্কিমের
অধীনে ভারতের ব্যাংক নাগরিকদের জন্য ভারতে ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট চালু করতে পারে
না।
৪৭.
স্কিমের অধীনে নাগরিক দ্বারা ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট চালু করার উদ্দেশ্যে ভারতের
একটি অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ও.বি.ইউ.)
ভারতের বাইরের শাখা ব্যাংকের সঙ্গে সমভাবে আচরিত হতে পারে কি ?
না।
স্কিমের উদ্দ্যশ্য সাধনের জন্য, ভারতের একটি ও.বি.ইউ. ভারতে
অবস্থিত একটি ব্যাংকের বিদেশী শাখা হিসাবে আচরিত হবে না।
সাধারণ
তথ্য
আরও
বিস্তারিত বিবরণ/পথনির্দেশের জন্য, বিদেশী মুদ্রা লেনদেনে অনুমোদন প্রাপ্ত যে কোনো
ব্যাংকের কাছে যান অথবা রিজার্ভ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিপার্টমেন্ট-এর আঞ্চলিক
অফিসে যোগাযোগ করুন।