আরবিআই /2013-14/213
ডিবিওডি.এএমএল.বিসি.নং.50/14.01.001/2013-14
সেপ্টেম্বর 3, 2013
সভাপতি / সমস্ত তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কসমূহের সিইওগণ (আরআরবি বাদে)
লোকাল এরিয়া ব্যাঙ্ক / সর্বভারতীয় আর্থিক সংস্থাসমূহ
নিজের গ্রাহকদের জানুন(কেওয়াইসি) বিধি / অবৈধ অর্থ বৈধকরণ প্রতিরোধের(এএমএল)মান / সন্ত্রাসবাদকে অর্থসংস্থান প্রতিরোধ (সিএফটি) / পিএমএলএ, 2002-এর অধীনে ব্যাঙ্কগুলির দায়বদ্ধতা–গ্রাহকদের থেকে ব্যাঙ্ক কর্তৃক তথ্য জানতে চাওয়া
অনুগ্রহ করে নিজের গ্রাহকদের জানুন(কেওয়াইসি) বিধি / অবৈধ অর্থ বৈধকরণ প্রতিরোধের(এএমএল)মান / সন্ত্রাসবাদকে অর্থসংস্থান প্রতিরোধ (সিএফটি) / পিএমএলএ, 2002-এর অধীনে ব্যাঙ্কগুলির দায়বদ্ধতা বিষয়ে আমাদের জুলাই 01, 2013 তারিখের মূল সার্কুলার ডিবিওডি.এএমএল.বিসি.নং.24/14.01.001/2013-14 দেখবেন। এই নির্দেশাবলির উদ্দেশ্য হল জেনে বুঝে বা না জেনে অপরাধীরা যেন অবৈধ অর্থ বৈধ করা বা সন্ত্রাসবাদীদের অর্থসংস্থান করার কাজে ব্যাঙ্কগুলিকে ব্যবহার না করতে পারে। কেওয়াইসি পদ্ধতি আবার ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের গ্রাহকদের এবং তাদের আর্থিক কাজকর্মের বিষয় আরও ভালোভাবে জানতে/বুঝতে সাহায্য করে যা আবার তাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে ঝুঁকি সামলাতে সাহায্য্ করে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরে এসেছে যে ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের থেকে এমন ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইছে যেগুলি একাউন্ট খোলার সময় বা বিশেষ সময়ান্তরে হালনাগাদ করার জন্য কেওয়াইসি/এএমএল সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধি পালন করার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয় এবং প্রাসঙ্গিকও নয়, যেমন নির্ভরশীল সদস্যসংখ্যা কত, ছেলে মেয়ের নাম, জীবনযাপনের ধরন, বিগত তিন বছরে কতগুলি বিদেশ ভ্রমণ তাঁরা করেছেন অথবা বিদেশে বসবাস করেন পরিবারের যে সমস্ত সদস্য/আত্মীয় তাঁদের বিষয়ে বিশদ বিবরণ, সম্পদ ও দায়, স্বামী/স্ত্রী-র নাম এবং জন্মতারিখ, বিবাহের তারিখ, বিনিয়োগ ইত্যাদি । এর ফলে গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন কেওয়াইসি পালনের জন্য তথ্য যোগাড় করতে গিয়ে ব্যাঙ্ক তাঁদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে অতিক্রম করতে চাইছে এবং বাড়াবাড়ি করছে।
2. এই ব্যাপারে ব্যাঙ্কগুলিকে মূল সার্কুলারের অনুচ্ছেদ 2.1-এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে যে গ্রাহকদের থেকে চাওয়া তথ্য যেন অনুমিত ঝুঁকির জন্য প্রাসঙ্গিক হয়, অনধিকার চর্চা না হয়, এবং এই বিষয়ে জারি করা নির্দেশাবলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। গ্রাহকের থেকে অন্য যে কোন তথ্য তাঁর সম্মতি নিয়ে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসা করা উচিত এবং তাও একাউন্ট খোলার পর।
3. অতএব, পুনরাবৃত্ত করা হচ্ছে যে গ্রাহকদের একাউন্ট খোলার সময় কেওয়াইসি উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য ‘বাধ্যতামূলকভাবে’ দেওয়ার যে দায়বদ্ধতা আছে তা শুধু একাউন্ট খোলা / সময়ান্তরে হালনাগাদ করার সময়েই যেন নেওয়া হয়।
4. অন্যান্য গ্রাহক সংক্রান্ত ‘ঐচ্ছিক’ বিশদ/অতিরিক্ত তথ্য, যদি প্রয়োজন হয়, আলাদাভাবে এবং গ্রাহকের স্পষ্ট সম্মতিসহ নেওয়া যেতে পারে একাউন্ট খোলার পর। গ্রাহকের অধিকার আছে জানার যে কেওয়াইসি’র জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য কোনগুলি যা তারা দিতে দায়বদ্ধ এবং কোনগুলি ব্যাঙ্ক কর্তৃক জানতে চাওয়া অতিরিক্ত তথ্য যা দেওয়া তাঁদের ইচ্ছের উপর নির্ভর করে।
5. এছাড়াও, আবার জানান হচ্ছে যে ব্যাঙ্কগুলি যেন খেয়াল রাখে গ্রাহকের থেকে সংগ্রহ করা তথ্য (উভয়ই, একাউন্ট খোলার আগে নেওয়া ‘বাধ্যতামূলক’ অথবা একাউন্ট খোলার পর গ্রাহকের সম্মতি নিয়ে নেওয়া) গোপন রাখতে হবে এবং তার বিশদ বিবরণ অন্য কোন পণ্য বিক্রয়ের জন্য বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে যেন প্রকাশ না করা হয়।
6. এই নির্দেশ ব্যাঙ্কগুলিকে কঠোরভাবে পালন করার জন্য বলা হচ্ছে।
আপনার বিশ্বস্ত
(প্রকাশ চন্দ্র সাহু)
মুখ্য মহাপ্রবন্ধ |