ন্যায্যভাবে
পরিষেবা শুল্ক নির্দিষ্ট করতে এবং তা জানিয়ে দেওয়া নিশ্চিত করতে হলে যে নীতি
মেনে চলা উচিত
(ক)
ব্যক্তিবর্গকে
সাধারণ ব্যাংকিং পরিষেবা দেওয়ার সময় যে শুল্ক আদায় করা হবে তা যেন
অব্যক্তিদের একই পরিষেবা দেওয়ার সময় যে শুল্ক দেওয়া হয় তার চেয়ে কম
হয়।
(খ)
বিশেষ
ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে (যেমন গ্রামীণ জনগণ, অবসরভাতাভোগী অথবা বরিষ্ঠ
নাগরিক) যে সাধারণ পরিষেবা দেওয়া হয় তার শুল্ক, অন্যান্য
ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে একই পরিষেবার
জন্য যে শুল্ক নেওয়া হয়, যেন তার চেয়ে সুবিধাজনক হারে হয়।
(গ)
সাধারণ
ব্যাংকিং পরিষেবার জন্য ব্যক্তিবর্গে কাছ থেকে যে শুল্ক নেওয়া হয় তা যেন
ন্যায্য ও কারণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।
(ঘ)
ব্যক্তিবর্গকে
সাধারণ ব্যাংকিং পরিষেবা দেওয়ার জন্য যে শুল্ক ব্যাংক আদায় করবে তা
যেন মূল্যের আনুপাতিক হারে হয় ও সেটি যেন শুধুমাত্র অতিরিক্ত খরচ
তুলতেই আদায়
করা হয় এবং তাতে একটি উচ্চ সীমা যেন থাকে।
(ঙ)
ব্যাংকগুলি
ব্যক্তি গ্রাহকদের কাছে আগেভাগেই তাদের সাধারণ ব্যাংকিং পরিষেবা
সংক্রান্ত সমস্ত শুল্কের তথ্য সময়মতো তুলে ধরবে।
(চ)
ব্যংকগুলি
তাদের ব্যক্তি গ্রাহকদের পরিষেবা শুল্কের প্রস্তাবিত পরিবর্তন সম্বন্ধে তথ্য
আগেভাগেই জানিয়ে দেবে।
(ছ)
ব্যাংকগুলি
তাদের ব্যক্তি গ্রাহকদের কাছ থেকে তাদের গ্রাহকদের কাছে বিজ্ঞপিত
শুল্কগুলিই কেবলমাত্র আদায় করতে পারবে।
(জ)
ব্যাংকগুলি
তাদের গ্রাহকদের উপযুক্তভাবে জানাবে তাদের অ্যাকাউন্ট অথবা লেনদেন
থেকে কীভাবে পরিষেবা শুল্ক কেটে নেওয়া হল।
যে
ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলি কোনো লেনদেন শুরু করে যার ফলে অথবা তার জন্য পরবর্তীকালে
জমা অর্থের মাত্রা কমে যেতে পারে ন্যূনতম জমা অর্থের মাত্রা থেকে সেই
ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলি অবশ্যই তাদের গ্রাহকদের এই বিষয়ে অবগত
করবে। |