RBI.No.2006-2007/299
DBOD.<Dir. BC. 70/13.01.01/
2006-07
মার্চ
৩০, ২০০৭
সমস্ত
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলি
(আঞ্চলিক
গ্রামীণ ব্যাংকগুলি ব্যাতীত)
মাননীয়
মহাশয়,
নিকটতম
রুপীতে লেনদেনের রাশিকে প্রকাশ
আমাদের
নিয়ন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি নং DBOD Dir. BC. 6/13.03.00/2006-07
তারিখ জুলাই ১, ২০০৬-টির ‘আমানেতের
উপর সুদ’-এর
অন্তর্গত অনুচ্ছেদ ১৯-এর দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে, যেখানে
ব্যাংকগুলিকে
পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে তারা সব লেনদেন, আমানতের সুদ প্রদান/ঋণের
সুদ গ্রহণ সহ, নিকটতম রুপীতে প্রকাশ করতে হবে, অর্থাত্ ৫০ বা তার পয়সার বেশি
ভগ্নাংশ হলে সেটিকে পরবর্তী পূর্ণ রুপীতে পরিণত করতে হবে অথবা ৫০ পয়সার কম হলে সেই
ভগ্মাংশকে বাতিল করতে হবে। ব্যাংকগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ক্যাশ সার্টিফিকেটের
ছাড়ার মূল্যকেও একইভাবে নিকটতম রুপীতে প্রকাশ করতে। ব্যাংকগুলিকে আরও পরামর্শ দেওয়া
হচ্ছে যে যদি তাদের গ্রাহক রুপীর ভগ্নাংশে চেক দেন তবে তা বাতিল না করতে বা সেই
চেকের আদায় বন্ধ না করতে।
২। আমরা
আরও পরামর্শ দিচ্ছি যে একটি সাম্প্রতিকতম মামলা আমেদাবাদে গুজরাট হাইকোর্টের গোচরে
আনা হয়েছে যেখানে একটি ব্যাংক একটি ড্রাফ্ট গ্রহণে অস্বীকার করে যেখানে রুপীর
ভগ্নাংশে রাশি ছিল এবং যেটি একটি সরকারী অ্যাকাউন্টে জমা হতো। গুজরাট হাইকোর্ট, এই
বিষয়ে গম্ভীর দৃষ্টিভঙ্গী নিয়েছেন ও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন যে
তাঁরা যেন এই বিষয়ে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই চিঠির অনুচ্ছেদ ১-এ বলা
বর্তমান নির্দেশাবলী অনুযায়ী, এবং যদি প্রয়োজন হয় তবে তারা যেন এই বিষয়ে নতুন
নির্দেশাবলী জারী করে সেই সব ব্যাংকগুলিকে যারা সেই সব চেক গ্রহণ না করতে তাদের
আভ্যন্তরীণ নির্দেশ জারী করেছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংককে এটিও দেখতে যে যারা এই রকম
রুপীর ভগ্নাংশে চেক নিতে অস্বীকার করে তাদের যন কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়। তাই
ব্যাংকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে তারা যেন রুপীর ভগ্নাংশে কাটা গ্রাহকদের
চেক/ড্রাফ্ট
যেন বাতিল বা তার আদেয় বন্ধ না করেন। ব্যাংকগুলি তারা যে পদ্ধতি মেনে চলা তাও
পর্যালোচনা করে দেখতে পারে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে আভ্যন্তরীণ
বিজ্ঞপ্তি জারী করে ইত্যাদি এবং এটিও যেন নিশ্চিত করে যে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা সেই
নির্দেশ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকেন যাতে জনসাধারণকে না ভুগতে হয়। ব্যাংকগুলি তাদের
কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাও নিতে পারে যারা এই রকম রুপীর ভগ্নাংশে দেওয়া
চেক/ড্রাফ্ট
নিতে অস্বীকার করে।
৩। অনুগ্রহ
করে মনে রাখবেন উপরোক্ত নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যাংকিং
রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৯ (এ-এ-সি-এস) অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে
পারে।
ইতি
ভবদীয়
(পি
বিজয় ভাস্কর)
চীফ
জেনারেল ম্যানেজার
|