আরবিআই/২০০৭-২০০৮/২৬০
ডিপিএসএস নং ১৪০৫ / ০২.১০.০২ / ২০০৭-২০০৮
মার্চ ১০, ২০০৮
সভাপতি / মুখ্য নির্বাহি আধিকারিক
(আরআরবিসহ সমস্ত তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক)
প্রিয় মহাশয়,
নগদ তোলা ও ব্যালান্স অনুসন্ধানের জন্য এটিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহক মাশুল
ভারতবর্ষে ব্যাঙ্কিং লেনদেনের পরিষেবা প্রদান-মাধ্যম হিসেবে স্বয়ংক্রিয় টেলার যন্ত্র (এটিএম) গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের এক্তিয়ার বৃদ্ধি করার জন্য এটিএম বসাচ্ছে। যদিও এটিএম বিভিন্ন ধরনের ব্যাঙ্কিং লেনদেনের সুবিধা প্রদান করে থাকে, তবে নগদ টাকা তোলা বা ব্যালান্স অনুসন্ধান করার ক্ষেত্রেই এটির প্রধান উপযোগিতা। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের শেষে ভারতবর্ষে নিযুক্ত মোট এটিএম-এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২, ৩৪২। শাখা সংখ্যা বিস্তারের অনুপাতেই বড় ব্যাঙ্কগুলি অধিক সংখ্যক এটিএম বসিয়েছে। অধিকাংশ ব্যাঙ্কই সেই সব স্থানে এটিএম বসাতে চায় যেখানে তাদের গ্রাহকের সংখ্যা বেশি এবং যেখানে এটিএম-এর প্রয়োগ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটিএম-এর ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে আন্ত-ব্যাঙ্ক এটিএম পরিকাঠামো গঠন করার জন্য বেশির ভাগ ব্যাঙ্কই অন্যান্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক বন্দোবস্ত কায়েম করছে।
২. এটি পরিষ্কার যে গ্রাহকদের উপর ধার্য মাশুল ভিন্ন ভিন্ন ব্যাঙ্কে ভিন্ন এবং লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত এটিএম পরিকাঠামোর উপরও তার ভিন্নতা নির্ভর করছে। ফলত, অন্য একটি ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একজন গ্রাহক আগের থেকে জানতে পারেন না যে সেই এটিএম-এ একটি বিশেষ লেনদেন করার জন্য তাকে কী পরিমাণের মাশুল দিতে হবে। এই কারণে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করার ব্যাপারে গ্রাহকরা আগ্রহী হন না। অতঃপর, এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত করা একান্তই জরুরি।
৩. আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বলে যে যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সে কোনও মাশুল না দিয়েই ব্যাঙ্ক গ্রাহকরা সমগ্র দেশের যে কোনও এটিএম ব্যবহার করতে পারেন, শুধু সাদা লেবেল দেওয়া এটিএম বা ব্যাঙ্ক নয় এমন সংস্থা দ্বারা পরিচালিত এটিএম থেকে নগদ তোলা বাদ দিয়ে। গোটা বিশ্বে প্রচেষ্টা চলছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কর্তৃক মাশুল কাঠামোর উপর জন-নীতির দৃষ্টিকোণ থেকে নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করা। আদর্শ পরিস্থিতি তাই যেখানে ব্যাঙ্কগুলির পক্ষপাতহীন সহযোগিতার ফলে গ্রাহকেরা মাশুল ছাড়াই সমস্ত দেশে যে কোনও এটিএম ব্যবহার করতে পারেন।
৪. এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই আরবিআই জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য তার ওয়েবসাইটে একটি ‘দৃষ্টিভঙ্গি
পত্র’(আপ্রোচ পেপার) স্থাপন করে। প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণও করা হয়েছে। প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে সমস্ত ব্যাঙ্কগুলিকেই কার্যকরী করতে হবে পরিষেবা মাশুলের একটি কাঠামো, যা নিম্নে দেওয়া হলঃ
ক্রমিক সংখ্যা |
পরিষেবা |
মাশুল |
১. |
যে কোনও উদ্দেশ্যে নিজেদের এটিএম ব্যবহার |
মাশুলবিহীন(তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে) |
২. |
ব্যালান্স জানার জন্য অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার |
মাশুলবিহীন(তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে) |
৩. |
নগদ তোলার জন্য অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার |
- ডিসেম্বর ২৩, ২০০৭ তারিখে
(অর্থাৎ আরবিআই ওয়েবসাইটে ‘আপ্রোচ পেপার প্রদর্শিত হওয়ার তারিখ) চালু মাশুল কোনও ব্যাঙ্কই বৃদ্ধি করবে না |
|
|
- প্রতি লেনদেন ২০ টাকার অধিক যে ব্যাঙ্কগুলি মাশুল গ্রহণ করছে তারা তা কমিয়ে মার্চ ৩১, ২০০৮ থেকে সর্বাধিক ২০ টাকা প্রতি লেনদেন করবে |
|
|
- মাশুলবিহীন – এপ্রিল ১, ২০০৯ থেকে কার্যকর হবে |
৫. উপরে ১ ও ২ পরিষেবার জন্য অন্য কোনও খাতে গ্রাহকদের থেকে কোনও মাশুল নেওয়া হবে না এবং এই পরিষেবা পুরোপুরি মাশুলবিহীন।
৬. পরিষেবা ৩-এর জন্য ২০ টাকা ধার্য মাশুল সার্বিক, যে পরিমাণের নগদই তোলা হোক না কেন অন্য কোনও খাতে আর কোনও মাশুল গ্রাহককে দিতে হবে না।
৭. নিম্নে প্রদত্ত ধরনের নগদ তোলা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি নিজেরাই ঠিক করবে কী মাশুল তার নেবেঃ
ক) ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে নগদ তোলা।
খ)বিদেশেস্থিতএটিএমথেকেনগদতোলা।
৮। দয়া করে সার্কুলার প্রাপ্তি স্বীকার করবেন। এই বিষয়ের উপর শাখায় জারি করা আপনাদের সার্কুলারের একটি প্রতিলিপি যথা সময়ে আমাদের নিকট জমা দেবেন।
আপনার বিশ্বস্ত,
(অরুন পশরিচা)
মহাপ্রবন্ধক
|