RBI./2005-06/282
DBOD.BP.BC No. 56 /
21.01.001/ 2005-06
জানুয়ারী ২৩, ২০০৬
সকল
বাণিজ্যিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান/ সি-ই-ও
(আঞ্চলিক
গ্রামীণ ব্যংকগুলি বাদে )
প্রিয়
মহাশয়,
অ্যাকাউন্ট
পেয়ী চেক জমা করা –তৃতীয়
পক্ষের অ্যাকাউন্টে অর্জিত অর্থ জমা করার উপর নিষেধাজ্ঞা
ব্যাংকের
জানা আছে যে অ্যাকাউন্ট পেয়ী চেক প্রাপকের পক্ষের স্বার্থে জমা করতে
হবে। ব্যাংকের স্বার্থে দেওয়া অ্যাকাউন্ট পেয়ী
চেকের ক্ষেত্রে আমাদের ১৯৯২ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর তারিখের DBOD.NO.BC.23/21.01.001/92
সার্কুলারে নির্দেশিত হয়েছে যে, যে
সমস্ত ব্যাংক তাদের স্বার্থে অন্য ব্যাংক কর্তৃক
দেওয়া
“A/c payee”
চিহ্নিত চেক প্রাপক হিসাবে যাদের
সেখানে নামোল্লেখ নেই তাদের অ্যাকাউন্টে জমা দেয় তা হলে, যেহেতু, তাতে চেক
প্রদানকারীর যথাযথ ম্যান্ডেট থাকে না
তাই ব্যাংক এ কাজ তাদের নিজ দায়িত্বে
করবে এবং অনধিকার অর্থ প্রদানের জন্যে দায়ী থাকবে।
২।
কিছু ব্যক্তি/সত্ত্বার সাম্প্রতিক কালের ইনিসিয়াল পাবলিক অফার (আই পি ও) প্রক্রিয়ার
অপব্যবহারের প্রেক্ষিতে এবং এ বিষয়ে সেবি-র রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন পক্ষ কি
ভাবে সংগঠনিক প্রথার অপব্যাবহার করছে
সেই ক্রিয়া-প্রণালী ধরতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক বিস্তারিত
তদন্তের ভার নিয়েছে।
এটা লক্ষ করা গেছে যে উপর্যুক্ত নির্দেশ সত্ত্বেও ব্যাংক ডি-পি
প্রদানকারীর
অনুরোধে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট পেয়ী
প্রত্যর্পণ আদেশ(রিফান্ড অর্ডার)-য়ের অর্থ ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে
দালালদের অ্যাকাউন্টে জমা করেছে।
এটা অর্থ প্রদান পদ্ধতির অপব্যাবহারের জন্ম দেয় এবং অনিয়ম ঘটাতে সাহায্য
করেছে।
ব্যংক
অ্যাকাউন্ট পেয়ী চেক জমার পদ্ধতি লঙ্ঘন না করলে এই অপব্যবহার ঘটত না।
যেহেতু এ পন্থা ব্যাংককে বিপদের সম্মুখীন করতে পারে তাই, ব্যাংকের এই ব্যত্যয়কে বিচক্ষণ
ব্যবসায়িক আচরণ হিসাবে বৈধতা দান করা যাবে না।
৩।
প্রয়োজনীয় আইনী শর্তের এবং বিশষত নেগোশিয়েবল্ ইন্স্ট্রুমেন্টস্ অ্যাক্টের
উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এই সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়ে এবং ব্যাংককে অনধিকার অর্থ
জমা করা সংক্রান্ত দায়ভার থেকে রক্ষা করার জন্যে এবং সততা ও সুস্থ অর্থ প্রদান রীতি এবং
ব্যাংকিং ব্যবস্থার স্বার্থে এবং সম্প্রতিক কালে যে ব্যত্যয় বারবার লক্ষ করা গেছে
তা বন্ধ করার জন্যে রিজার্ভ ব্যংক ‘অ্যাকাউন্ট
পেয়ী চেক’
নামাঙ্কিত চেক প্রাপকের পরিবর্তে অন্য কোন
ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া থেকে ব্যাংককে নিবৃত্ত করার প্রয়োজনীয়তা
অনুভব করেছে।
সেই জন্য, রিজার্ভ ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকগুলিকে নির্দেশ দেয় যে তারা যেন প্রাপকপক্ষ ছাড়া ‘অ্যাকাউন্ট
পেয়ী চেক’
অন্য কোন ব্যক্তির নামে জমা না করেন।
৪।
যেখানে সইকারী/প্রাপক ব্যাংককে প্রাপক ছাড়া অন্য কোন অ্যাকাউন্টে সঞ্চয় জমাকরার
নির্দেশ দেয়, যেহেতু সেই নির্দেশ
‘অ্যাকাউন্ট
পেয়ী চেকে’র
সহজাত চরিত্রের বিরোধী, তাই ব্যাংক সইকারীকে
/প্রাপকে
অনুরোধ করবে তারা যেন সইকারী চেকপ্রদানকারী দ্বারা চেক অথবা চেকের উপরের ‘অ্যাকাউন্ট
পেয়ী’-জাত ক্ষমতা প্রত্যাহার করিয়ে নেয়।
কোন প্রদানকারী ব্যাংকদ্বারা অন্য ব্যাংককে প্রদেয় চেকের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ
প্রযোজ্য হবে।
১৯৯২ সালের ৯ই সেপ্টেম্বরের ডিবিওডি নং. বিসি. ২৩/২১.০১.০০১/৯২ সার্কুলারে
নির্দেশিত নির্দেশাবলী, ততটুকু পর্যন্ত, পরিবর্তিত আকারে থাকবে।
৫।
১৯৪৯ সালের ব্যাংকিং রেগুলেশানের ৩৫এ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশাবলী
প্রকাশকরা হল।
ইতি ভবদীয়
(
আনন্দ সিন্হা )
একজিকিউটিভ ডিরেক্টর
|