মেয়াদি সরকারী অর্থপত্রের জন্য অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দরের ওপর সাধারণ প্রশ্নাবলী
বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের (ঋণের) জন্য ভারত সরকার অর্থপত্র ছাড়ে। এই অর্থপত্রগুলি নিলামের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়ে থাকে। সরকার একটি দিন ঘোষনা করে যেদিন নিলামের মাধ্যমে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থপত্র ছাড়া হবে। বিনিয়োগকারীরা নিলাম দর দেবেন, হয় নতুন অর্থপত্রের ওপর সুদের হারে (কুপন) অথবা অর্থপত্রগুলি তাদের বর্তমানে দাম পুনরায় ছাড়া হবে। যেহেতু নিলাম দর দেওয়ার পদ্ধতি কিছুটা বিশেষ, শুধুমাত্র বৃহত্ ও তথ্যজ্ঞাত বিনিয়োগকারীরা যেমন ব্যাংক, প্রাধান ব্যবসায়ী, অর্থনৈতিক সংস্থা, মিউচুয়াল ফান্ড, বীমা কোম্পানি ইত্যাদিরাই নিলামে অংশ নিয়ে থাকে। ফলে সরকারী অর্থপত্রের প্রাথমিক বাজার থেকে একটা বড় ধরনের মাঝারি ও ছোট বিনিয়োগকারীরা বাদ যান যেটা শুধু নিরাপদ ও নিরাপত্তাযুক্ত তাই নয় তার তেকে বাজার হারে সুদও পাওয়া যায়।
৭ই ডিসেম্বর ২০০১ থেকে ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক মেয়াদি সরকারী অর্থপত্রের ওপর অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দরে একটা সুবিধা ঘোষণা করেছেন।
এই প্রকল্প থেকে কারা সুবিধা পাবেন ?
১। এই প্রকল্পে কারা অংশগ্রহণ করতে পারেন ?
অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারেন সাধারণ ব্যক্তিবর্গ, অবিভক্ত হিন্দু পরিবার, সংস্থা, কোম্পানি, কর্পোরেট সংস্থা, প্রতিষ্ঠানগুলি, প্রভিডেন্ড ফান্ড, ট্রাস্ট বা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক নির্দিষ্ট অন্যান্য সংস্থারা। যেহেতু ছোট বিনিয়োগকারীরা যাদের বাজার অভিজ্ঞতা কম, তাদের জন্য এই প্রকল্প তাই এই প্রকল্প তাদের জন্য খোলা থাকবে যাদের
(ক)
যাদের ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকর সঙ্গে কারেন্ট আকাউন্ট (সিএ) অথবা সাবসিডিয়ারি জেনারেল
লেজার
আকাউন্ট (এসজিএল) নেই
(খ)
প্রতি নিলামে এক কোটি রুপীর (মূল মূল্যের) বেশী জামানতের প্রয়োজন নেই
তাদের বিধিবদ্ধ দায়ের দিকে দৃষ্টি রেখে, ব্যতিক্রম হিসাবে আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক, শহরাঞ্চল সমবায় ব্যাংক এবং ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। যদিও প্রতি নিলামে প্রতি বিনিয়োগকারীর উপর সর্বাধিক এক কোটি রুপীর দায়ের সীমাবদ্ধতা লাগু থাকবে।
২। মেয়াদি সরকারী অর্থপত্রের উপর অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর ব্যাপারটি কী ?
অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর বোঝায় নিলামে অংশগ্রহণকারী নিলামের কোন দর না দিয়ে মেয়াদি সরকারী অর্থপত্রের নিলামে অংশ নিতে পারবেন। এভাবে তাঁকে ভয়ে থাকতে হবে না যে তাঁর নিলাম দর গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তাঁর দর যতক্ষণ পর্যন্ত প্রকল্পের নিয়মের মধ্যে থাকবে তাঁকে পুরো বা আংশিকভাবে অর্থপত্র দেওয়া হবে।
৩। অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর প্রকল্পের সুবিধাগুলি কী ?
(ক)
অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর সরকারী অর্থপত্রে বিস্তৃতভাবে অংশগ্রহণকে এবং ক্ষুদ্র বিক্রয়কে উত্সাহ দেয়।
(খ)
এটি ব্যক্তিবর্গ, সংস্থা এবং অন্যান্য মধ্য-ক্ষেত্র বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় করবে যাদের প্রতিযোগিতামূলকভাবে নিলামে অংশ নেওয়ার ক্ষমতা নেই।
(গ)
সেরকম বিনিয়োগকারীদের নিলামের নির্দিষ্ট হারে নিশ্চিত অ্যালটমেন্ট প্রাপ্তির ভাল সুযোগ আছে।
প্রকল্পের ব্যাপ্তি
৪। কত পরিমান রাশি অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দরে দেওয়া হবে?
মেয়াদি অর্থপত্রের নির্দিষ্ট নিলামে বিজ্ঞপিত রাশির সর্বাধিক পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দরে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
৫। অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর প্রকল্পের জন্য সংরক্ষিত রাশি কি বিজ্ঞপিত রাশির অংশীভূত হবে?
হ্যাঁ। সংরক্ষিত রাশি বিজ্ঞপিত রাশির অংশীভূত হবে।
৬। অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর কি সব রকম মেয়াদি অর্থপত্রের নিলামের অনুমতিপ্রাপ্ত হবে?
শুরুতে কিছু বাছাই করা ভারত সরকারের মেয়াদি অর্থপত্রের নিলামেই অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দরকে অনুমতি দেওয়া হবে যার নাম এবং সময়কাল ঘোষিত হবে।
৭। ট্রেজারী বিলের নিলামের জন্য কি এই প্রকল্প লাগু হবে?
না। এই প্রকল্প ট্রেজারী বিলের নিলামের জন্য লাগু নয়।
কীভাবে নিলামে অংশগ্রহণ করা যাবে?
৮। একজন যোগ্য ব্যক্তি নিলামে কীভাবে অংশগ্রহণ করবেন ?
একজন যোগ্য ব্যক্তি নিলামে সোজাসুজি অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তাঁকে অবশ্যই ব্যাংকের মাধ্যমে বা প্রধান ব্যাবসায়ী-এর মাধ্যমে আসতে হবে।
৯। ন্যূনতম নিলাম দরের পরিমাণটা কত ?
নিলামের ন্যূনতম পরিমাণ
Rs.10,000 (মূল মূল্য) এবং তার গুণিতকে।
১০। এই প্রকল্পে একজন বিনিয়োগকারী কতগুলি দর দিতে পারবেন ?
এই প্রকল্পের প্রতিটা নির্দিষ্ট নিলামে একজন বিনিয়োগকারী ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীর মাধ্যমে শুধুমাত্র একটাই দর দিতে পারবেন।
১১। এটা কি ভাবে নিশ্চিত করা হবে ?
ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারী যে নিলামের দর দেবেন এবং তাঁকে এই মর্মে সই করতে হবে যে তিনি একটাই দর দিয়েছেন।
নিলামের পদ্ধতি
১২। কীভাবে ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী তার অপ্রতিযোগীতামূলক নিলামকারীর হয়ে দর দেবেন ?
প্রতিটি ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী, নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুযায়ী, নিলামের দিনে অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দরের মোট রাশির উপর একটাই দর দেবে। ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রতি ক্রেতার বিবরণ, যেমন - নাম, বিনিয়োগের রাশি ইত্যাদি জমা দেবে।
১৩। কোনো আবেদন পত্র আছে কি ?
নির্দিষ্ট নিলামের ঘোষণার সময় এটির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, যার জন্য অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দরের আহ্বান জানানো হবে।
১৪। নিলামের কর্মপদ্ধতি কী ?
ভারত সরকার সরকারী অর্থপত্রের নিলামের বিজ্ঞপ্তি জারী করে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয় অর্থপত্রের পরিমাণ এবং সেটি নতুন ঋণ হিসাবে হবে না বর্তমান ঋণ পুনরায় জারী হিসাবে ঘোষিত হবে। ঘোষণায় আরও জানানো হবে যে নিলামে অংশগ্রহণকারীরা যে দর দেবেন তা মূল্যের উপর হবে না কুপনের উপর (সুদের হার) হবে। প্রতিযোগীতামূলক নিলামে অংশগ্রহণকারীরা মূল্য বা কুপনের উপর প্রতিযোগীতামূলক দর দেবেন। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক তখন প্রাপ্ত নিলাম দরের ভিত্তিতে ন্যূনতম মূল্য বা কুপন মূল্য ঘোষণা করবেন। সকল সফল নিলামকারীকে পূর্ণ বা আংশিকভাবে অর্থপত্র দেওয়া হবে।
উদাহরণ :
সম্প্রটি ভারতসরকারের একটি ১১ বছর মেয়াদি সরকারী স্টক নিলাম হল যার বিজ্ঞপিত রাশির পরিমাণ ছিল
Rs.5,000 কোটি। কুপনের হারের উপর ন্যূনতম সুদের ছিল শতকরা ৯.৪০ শতাংশ। কিন্তু মূল্যযুক্ত গড় সুদের পরিমাণ ছিল ৯.৩৬ শতাংশ, যেহেতু বিভিন্ন সফল নিলাম অংশগ্রহণকারীদের অর্থপত্র বিক্রয় করা হয়েছে তাদের দর অনুযায়ী যা ন্যূনতম হার বা তার নিচে ছিল (অর্থাত্ - বিভিন্ন মূল্য নিলাম ব্যবস্থা)।
১৫। কোন হারে অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম ডাককারীরা অ্যালটমেন্ট পাবেন ?
অপ্রতিযোগীতামূলক ক্ষেত্রে অ্যালটমেন্ট মূল্যযুক্ত গড় হারে হবে যা প্রতিযোগীতামূলক নিলামের দরের উপর নির্ভর করবে। (দয়া করে প্রঃ ১৪ এবং প্রঃ ১৭-র উত্তর দেখুন)।
কিভাবে আলটমেন্ট দেওয়া হবে ?
১৬। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কিভাবে অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম ডাককারীদের অর্থপত্র প্রদান করবে ?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক অপ্রতিযোগীতামূলক ক্ষেত্রে অর্থপত্র প্রদান করবে ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীকে, যারা পরবর্তীকালে ডাককারীকে দেওয়া হয়।
১৭। যদি অপ্রতিযোগীতামূলক ভাবে নিলাম দরের রাশি সংরক্ষিত রাশির চেয়ে বেশী হয়, তখন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক কিভাবে অর্থপত্রের অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম দর প্রদান করবে?
যদি অপ্রতিযোগীতামূলক নিলামের মাধ্যমে মোট নিলাম দরের রাশি সংরক্ষিত রাশির চেয়ে বেশি হয়, তখন অ্যালটমেন্ট নির্দিষ্ট আনুপাতিক হারে করা হয়ে থাকে।
উদাহরণ:
ধরা যাক, অপ্রতিযোগীতামূলক হিসাবে ১০ কোটি রুপী অ্যালটমেন্টের জন্য সংরক্ষিত। অপ্রতিযোগীতামূলক ক্ষেত্রে সমস্ত নিলাম দরের পরিমাণ ১২ কোটি রুপী। তাহলে, আংশিক আলটমেন্টের শতাংশ হবে=১০÷১২=৮৩.৩৩%
নিলামে আসল অ্যালটমেন্ট এই রকম হবে:
ডাককারী |
ডাকের রাশি |
অ্যালটমেন্ট |
ব্যাংক ১ |
২ কোটি |
১,৬৬,৭০,০০০/- |
ব্যাংক ২ |
৩ কোটি |
২,৫০,০০,০০০/- |
প্রধান ব্যবসায়ী ১ |
১ কোটি |
৮৩,৩০,০০০/- |
প্রধান ব্যবসায়ী ২ |
১ কোটি |
৮৩,৩০,০০০/- |
ব্যাংক ৩ |
৫ কোটি |
৪,১৬,৭০,০০০/- |
এখানে এটি মনে রাখতে হবে যে আসল অ্যালটমেন্ট অনেক সময় আংশিক অ্যালটমেন্ট অনুপাত-এর চেয়ে অল্প আলাদা হতে পারে যেহেতু এটি চেষ্টা করা হয় তাকে পূর্ণ সংখ্যায় বদল করতে যা ১০,০০০/- -এর গুণিতকে হয়।
১৮। যদি অপ্রতিযোগীতামূলক ভাবে নিলাম দরের রাশি সংরক্ষিত রাশির চেয়ে কম হয় ?
অপ্রতিযোগীতামূলক নিলামের মাধ্যমে মোট নিলাম দরের রাশি সংরক্ষিত রাশির চেয়ে কম হয়, তখন সব আবেদনকারীকে পূর্ণ অ্যালটমেন্ট প্রদান করা হবে এবং বাকি পরিমাণ প্রতিযোগীতামূলক ক্ষেত্রে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
১৯। ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী কিভাবে আংশিক অ্যালটমেন্ট করবে ?
এটা ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীর দায়িত্ব যে তারা তাদের গ্রাহকদের উপযুক্তভাবে অর্থপত্র বন্টন করবে স্বচ্ছতা বজায় রেখে।
এটির অর্থ প্রদান কীভাবে হয়ে থাকে ?
২০। Rs. 10,000 -এর মূল মূল্যের অর্থপত্র নিতে বিনিয়োগকারীদের কত অর্থ প্রদান করতে হবে
?
উপরোক্ত প্রঃ ১৪-র উদাহরণে, যেখানে নিলামটি হার ভিত্তিক হয়েছিল, নিলামে ন্যূনতম হার হয়েছিল ৯.৪০ শতাংশ এবং মূল্যযুক্ত গড় ন্যূনতম হার হয়েছিল ৯.৩৬ শতাংশ। ৯.৩৬ শতাংশে অর্থপত্রের মূল্যযুক্ত গড় হার হয় Rs.100.27। এইভাবে, এই প্রকল্পে, বিনিয়োগকারীরা Rs.100.27 -তে অর্থপত্র পাবেন। তাই, প্রতি Rs.100 (মূল মূল্য) অর্থপত্রতে দিতে হবে Rs.100.27। এইভাবে, Rs.10,000 -এর অর্থপত্র তিনি পাবেন (দাম x মূল মূল্য÷১০০) = ১০০.২৭ x ১০,০০০÷১০০= Rs.10,270/- ।
২১। অর্থপত্র জারী করার পর যদি অর্থপত্রের দাম ব্যাংক/প্রধান ব্যাবসায়ীকে দেওয়া হয় তবে কী হবে ?
যদিও ব্যাংক/প্রধান ব্যাবসায়ীকে অর্থপত্র প্রদান করার দিনেই অর্থ প্রদান করতে হয়, কিন্তু যদি ক্রেতা অর্থপত্রটি প্রদান করার দিনের পর দাম মেটান, অনুমতিসাপেক্ষে গ্রাহক দ্বারা ব্যাংক/প্রধান ব্যাবসায়ীকে প্রদেয় অর্থের উপর পুঞ্জিভূত সুদ যুক্ত হবে। উদাহরণ হিসাবে, ৯.৪০% এ অর্থপত্র জিওআই ২০১৫ প্রদান করা হয়, এবং প্রদান করার দিনের তিন দিন পরে দাম দিলে, পুঞ্জিভূত সুদের পরিমাণ ৯.৪০÷১০০
x ৩÷৩৬০
x ১০,০০০= Rs.7.83।
এখানে, অর্থপত্রের মূল্য Rs.100.27 হলে, Rs.10,000 মূল্যের বিনিয়োগের উপর তিন দিন পরে পুঞ্জিভূত সুদ সহ পুরো অর্থ দিতে হবে এই রকম Rs. 10, 270 + Rs. 7.83 = Rs.10,
277. 83 (পূর্ণ সংখ্যায় না করে)।
২২। মূল্যভিত্তিক নিলামে অবস্থান কীরকম হবে ?
অপ্রতিযোগীতামূলক নিলামের ডাককারীরা মূল্যযুক্ত গড় মূল্যে দেবে যা প্রতিযোগীতামূলক নিলামের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট হবে।
উদাহরণ হিসাবে, ৫ই ডিসেম্বর ২০০১-এ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক একটি বর্তমানের অর্থপত্র ১০.৭১% জিওআই ২০১৬, যার মেয়াদপূর্তি ১৯শে এপ্রিল ২০১৬, তার মূল্যভিত্তিক নিলাম করেছিল। এই নিলামের মধ্যে থেকে যে ন্যূনতম মূল্য পাওয়া গিয়েছিল তা হল Rs. 121.92। মূল্যযুক্ত গড় মূল্য ছিল Rs. 121.99। তাই অপ্রতিযোগীতামূলক নিলামের ডাককারীদের Rs. 121.99 মূল্য দিতে হবে সঙ্গে নিচে বর্ণিত পুঞ্জিভূত সুদও যুক্ত হবে।
২৩। Rs.10,000 বা তার বেশি মূল্যের অর্থপত্র কিনতে অপ্রতিযোগীতামূলক নিলাম ডাককারীদের কত টাকা দিতে হবে ?
প্রতি Rs.100 (মূল মূল্য)-র জন্য দিতে হবে Rs.121.99। এইভাবে, Rs.10,000 মূল্যের অর্থপত্রের জন্য, তাকে দিতে হবে ( মূল্য x মূল মূল্য÷১০০) = ১২১.৯৯ x ১০,০০০÷১০০= Rs.12,199/-।
যেহেতু, মেয়াদি সরকারী অর্থপত্রের কুপন অর্ধবার্ষিক হিসাবে দেওয়া হয়, অর্থপত্রের কুপন দেওয়ার তারিখ ১৯শে এপ্রিল/১৯শে অক্টোবর।
যদি ৬ই ডিসেম্বর ২০০১ (মোট পাওনা মিটিয়ে) অর্থপত্রের মূল্য দেওয়া হয়ে, শেষ কুপনের তারিখ থেকে কুপন দেওয়ার দিন পর্যন্ত, অর্থাত্ ১৯শে অক্টোবর ২০০১ থেকে ৬ই ডিসেম্বর ২০০১, এই ৪৭ দিনের জন্য পুঞ্জিভূত সুদ হবে ১০.৭১÷১০০ x ৪৭÷৩৬০ x ১০০০০ = Rs 139.83।
এইভাবে, বিনিয়োগকারীকে দিতে হবে মূল্য যোগ পুঞ্জিভূত সুদ, অর্থাত্, Rs. 12199 + 139.83 = Rs.
12,338.83 (পূর্ণ সংখ্যায় না করে)।
যদি ৬ই ডিসেম্বর ২০০১ এ মূল্য না মেটানো হয়ে৯ই ডিসেম্বর ২০০১ হয়, তাহলে, ৪৭ দিনের জায়গায ৫০ দিনের জন্য পুঞ্জিভূত সুদের পরিমাণ ধরা হবে (৩ দিন বেশী), এবং এক্ষেত্রে হবে ১০.৭১÷১০০ x ৫০÷৩৬০ x ১০০০০= Rs.148.75। সেক্ষেত্রে, বিনিয়োগকারীকে পূর্ণ টাকা দিতে হবে এইরকম, 12,199+148.75=Rs. 12,347.75 (পূর্ণ সংখ্যায় না করে)।
২৪। কতদিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা অর্থপত্র পাবেন ?
গ্রাহকদের অর্থপত্র প্রদান সম্পন্ন করা হবে নিলামের দিন থেকে পাঁচটি কর্মদিনের মধ্যে।
অর্থপত্র
প্রদান এবং অর্থপত্র অধিকারের স্বরূপ
২৫। কিভাবে
অর্থপত্র প্রদান করা হবে ?
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক শুধুমাত্র বৈদ্যুতিন (ডিম্যাট - এস-জি-এল)
হিসাবে অর্থপত্র প্রদান করবে।
ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীর সি-এস-জি-এল অ্যাকাউন্টে এই অর্থপত্র জমা
হবে।
২৬। এস-জি-এল
এবং সি-এস-জি-এল
অ্যাকাউন্ট কি ?
এস-জি-এল
এবং সি-এস-জি-এল অ্যাকাউন্ট ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে সরকারী অর্থপত্র
অধিকারের বৈদ্যুতিন (ডিম্যাট) রূপ।
যেভাবে একজন বিনিয়োগকারী বৈদ্যুতিন (ডিম্যাট) রূপে শেয়ার ধরে রাখতে পারেন জমাখাত
হিসাবে,
সেই
রকম তিনি ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীর সঙ্গে অ্যাকাউন্টে সরকারী অর্থপত্রও অধিকারে
রাখতে পারেন।
ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী গ্রাহকের হয়ে যে অর্থপত্র অধিকারে রাখে তা ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে একটা আলাদা সি-এস-জি-এল অ্যাকাউন্টে রাখা থাকে।
এইভাবে,
যদি
ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী
গ্রাহকের
হয়ে অর্থপত্র ক্রয় করে,
তাহলে
তা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সঙ্গে সি-এস-জি-এল অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।
২৭। ক্ষুদ্র
বিনিয়োগকারীকে কি সাবসিডিয়ারি জেনারেল লেজার (এস-জি-এল)
অ্যাকাউন্ট
বা কনস্টিটিউয়েন্ট সাবসিডিয়ারি জেনারেল লেজার (সি-এস-জি-এল)
অ্যাকাউন্ট
বজায় রাখতে হবে ?
না।
এটা
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয় যে ব্যাংকের প্রধান ব্যাবসায়ীর
সঙ্গে কনস্টিটিউয়েন্ট সাবসিডারী জেনারেল লেজার (সি-এস-জি-এল)
অ্যাকাউন্ট
বজায় রাখতে হবে যার মাধ্যমে তাঁরা নিলামে অংশ নিতে পারেন।
যদিও,
এটা
থাকলে,
বিনিয়োগকারীদের
কাছে সুবিধাজনক।
২৮। ক্ষুদ্র
বিনিয়োগকারীর প্রধান ব্যবসায়ীর কাছে থাকা তাঁর বর্তমান ডিম্যাট আকাউন্টে কি
অর্থপত্র জমা করতে পারবেন?
হ্যাঁ,
প্রধান
ব্যাবসায়ী/ব্যাংক
যার মাধ্যমে
আবেদন
করা হয়েছে,
অর্থপত্র
জমা করার ক্ষেত্রে এ ধরনের অ্যাকাউন্টগুলি সম্বন্ধে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ
করবেন।
২৯। বিনিয়োগকারী
কি অর্থপত্রগুলি সার্টিফিকেটের আকারে চাইতে পারেন ?
হ্যাঁ,
বিনিয়োগকারীর
অনুরোধে
এই
অর্থপত্রগুলি সার্টিফিকেটের আকারে পরিবর্তন করা যাবে।
৩০। প্রদান
করার পদ্ধতিটি কী ?
অপ্রতিযোগীতামূলক
নিলাম ডাককারীর পক্ষে প্রদান করার তারিখে ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী যে মূল্য দেয়
তার নিরিখে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সেই ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীকে অর্থপত্র
প্রদান করবে।
অপ্রতিযোগীতামূলক
নিলাম ডাককারী যে ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীর মাধ্যমে ডাক দেবেন তাদেরকে মূল্য
প্রদান করবেন এবং তাদের মাধ্যমে অর্থপত্র পাবেন।
অন্য
ভাবে বলতে গেলে,
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক
প্রদান
করার তারিখে ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী কাছ থেকে যে অর্থ পাবে তার নিরিখে ব্যাংক
বা প্রধান ব্যবসায়ীকে অর্থপত্র প্রদান করবে, ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী গ্রাহকের
থেকে মূল্য পেল কি না তা না দেখেই।
৩১। ব্যাংক
বা প্রধান ব্যাবসায়ী কি এর জন্য পরিষেবা শুল্ক নেবে ?
গ্রাহককে
পরিষেবা দেওয়ার জন্য ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ী প্রতি Rs.100 -এ
৬ পয়সা অবধি কমিশন হিসাবে নিতে পারে।
৩২। কীভাবে
এই শুল্ক নেওয়া হবে ?
ব্যাংক
বা প্রধান ব্যাবসায়ী এই শুল্ক নিতে পারে ক্রয় মূল্যের উপর বা ক্রেতার থেকে
আলাদাভাবে।
৩৩। অপ্রতিযোগীতামূলক
নিলাম ডাককারী মূল্যের বিশদ বিবরণ সম্বন্ধে জানবে কী করে ?
গ্রাহকের
কাছ থেকে মূল্যের হিসাব যেমন অর্থপত্রের মূল্য,
পুঞ্জিভূত সুদ যেখানে প্রযোজ্য এবং কমিশন সবই ব্যাংক বা প্রধান ব্যাবসায়ীকে হিসাব
করে রাখতে হবে এবং সেটি এই কার্যের জন্য চুক্তিপত্রে পরিষ্কারভাবে জানানো হবে
গ্রাহকের স্বার্থে।
৩৪। কোনো
অতিরিক্ত খরচ আছে কি ?
না।
ব্যাংক
বা প্রধান ব্যাবসায়ী মূল্যের সঙ্গে অন্য কোনভাবে অর্থ নিতে পারে না,
যেমন
অর্থ প্রদানের শুল্ক ইত্যাদি।
অন্যার্থে,
ব্যাংক
বা প্রধান ব্যাবসায়ী
ক্রেতার
থেকে অন্য কোনরকম অর্থ পারবে না প্রঃ২১ এবং প্রঃ২৩-এ উল্লেখিত পুঞ্জিভূত সুদ এবং
প্রঃ৩১-এ উল্লেখিত
কমিশন
ছাড়া।
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক কি এই প্রকল্প পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করবে ?
৩৫। ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক কি এই প্রকল্প পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করবে?
প্রধান
ব্যাবসায়ী এবং ব্যাংক
প্রকল্প
সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংককে যখন সেই তথ্য
চাইবেন।
রিজার্ভ ব্যাংকও নির্দেশিকাগুলি পর্যালোচনা করবে।
যদি এবং যখন নির্দেশিকাগুলি সংশোধন করা হবে,
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সকলকে সেই সংশোধনীর বিষয়ে অবগত করবে।
১৫ই
ডিসেম্বর,
২০০১