সাধারণ
প্রশ্নাবলী
মুদ্রা
বিষয়ে আপনার পদপ্রদর্শক
ক) প্রাথমিক
বিষয়গুলি
মুদ্রার
ইতিহাস :
১।
ধাতু
মুদ্রা ২। কাগজের
মুদ্রা:
ভারতীয়
মুদ্রার নাম কী ? ভারতে
কত মূল্যের ব্যাংক নোট প্রচলিত আছে ? শুধু
কি এই মূল্যের নোট ও কয়েনই প্রচলিত করা যাবে ? উচ্চ
মূল্যের ব্যাংকনোটগুলির প্রচলন বন্ধ করা। বর্তমানে
কত মূল্যের কয়েন ভারতে প্রচলিত আছে ? আইন
স্বীকৃত মুদ্রা কী ? “আমি
প্রদান করতে অঙ্গীকার বদ্ধ হচ্ছি”
এই শব্দাবলীর মানে কী ?
ভারত
সরকারের কাছে এক রুপী কেন দায়
?
খ) মুদ্রা
ব্যবস্থা
পরিচালনা
মুদ্রা
ব্যবস্থা পরিচালনে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ভূমিকা কী
? ভারত
সরকারের ভূমিকা কী ? কী
ভিত্তিতে ও কে সিদ্ধান্ত নেন কতটা এবং কোন মূল্যের ব্যাংক নোট ছাপানো হবে
? কে
সিদ্ধান্ত নেত কতটা ধাতু মুদ্রা তৈরী হবে ? ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক কীভাবে ব্যাংক নোটের চাহিদা বোঝে ? কীভাবে
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়
? কারেন্সী
চেস্ট কী ? ক্ষুদ্র
মুদ্রা ভাণ্ডার কী ? ব্যাংক
নোট ও কয়েন যখন বণ্টন থেকে তুলে নেওয়া হয় তখন কী হয় ? কোথা
থেকে সাধারণ মানুষজন ব্যাংক নোট ও কয়েন পেতে পারেন
?
গ) বর্তমানের
সমস্যাগুলি
নগদের
উপর নির্ভরতা
কমানো
কোনো উপায় আছে কি ? ব্যাংক
নোট ও কয়েনের সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপগুলি। Re.1,
Rs.2, Rs.5
-এর
ব্যাংকনোট কেন ছাপানো হয় না ?
ঘ) নোংরা
ও ছেঁড়া ব্যাংকনোটগুলি
ছেঁড়া
ও নোংরা ব্যাংকনোটগুলি কী ? এই
সব ব্যাংকনোটের মূল্য বিনিময় সম্ভব কি ? নোংরা
ও ছেঁড়া নোটগলির বিনিময় কতটা মূল্য পাওয়া সম্ভব ? নোট
রিফান্ড রুলস মতে কোন নোটগুলির মূল্য বিনিময়ের যোগ্য নয় ? কোনো
ব্যাংকনোট যদি বিনিময়ের অযোগ্য হয় ? কোথায়
নোংরা ও ছেঁড়া ব্যাংক নোট নেওয়া হয় ?
ঙ) স্বাধীনতার
পর থেকে ব্যাংক নোটগুলি
মহাত্মা
গান্ধী (এম-জি)
১৯৯৬
সিরিজের নোটে কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে কি ? কেন
বদল ঘটানো হয়েছিল ? “স্টার
সিরিজ” ব্যাংক
নোট কী ?
চ) নকল
/ জাল
কীভাবে
নকল/জাল
ও আসল নোটের মধ্যে তফাত করা যাবে ? জাল
নোট ছাপানো ও বণ্টনের বিরুদ্ধে কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে ?
ছ) পরিষ্কার
নোট নীতি:
মুদ্রা
বিষয়ে আপনার পথ প্রদর্শক
মূল্যপ্রদানের
জন্য টাকাপয়সা বলতে বোঝায় ধাতু মুদ্রা,
কাগজের
তৈরী মুদ্রা এবং ব্যাংকে জমা তহবিল থেকে অর্থ প্রত্যাহার।
বর্তমানে
ক্রেডিট কার্ড ও বৈদ্যুতিন অর্থ,
অর্থ-প্রদান
ব্যবস্থার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
যদিও
সাধারণ মানুষ অর্থ বলতে কাগজের ও ধাতু মুদ্রাই বোঝে।
এর
কারণ ভারতবর্ষে মূল্যপ্রদান ব্যবস্থা,
বিশেষ
করে খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে,
কাগজের
ও ধাতু মুদ্রার
উপর
ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।
ভারতীয়
মুদ্রার উপর সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়াস এখানে করা
হল।
ক) প্রাথমিক
বিষয়গুলি
মুদ্রার
ইতিহাস
:
১। ধাতু
মুদ্রা
মুদ্রার
প্রথম নথিভুক্ত ব্যবহার সম্ভবত ‘পাঞ্চ
মার্ক’
মুদ্রার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল খ্রীষ্টপূর্ব ৭ম-৬ষ্ঠ
শতাব্দী এবং খ্রীষ্টাব্দ ১ম শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে।
মুদ্রার
ব্যবহার নিচের বিভাগগুলিতে ভাগ করা যায়:
(অ)
প্রাচীন
যুগ
(আ)
মধ্য
যুগ
(ই)
মুঘল
যুগ
(ঈ)
প্রাক-ঔপনিবেশিক
যুগের শেষার্ধ
(উ)
ব্রিটিশ
ভারত
(ঊ)
প্রজাতন্ত্রী
ভারত
(ঋ)
অন্যান্য
১৫ই
আগস্ট ১৯৪৭ ভারত স্বাধীন হয়।
স্বাধীনতার
অবহিত পরই সেই মধ্যবর্তী সময় ভারত তাদের আগের মুদ্রা ব্যবস্থা,
সেটির
মুদ্রা ও কয়েন দুই ব্যবহার করেছিল।
ভারত তার নিজস্ব মুদ্রা শুরু করেছে ১৫ই আগস্ট ১৯৫০ সাল থেকে।
ভারতে
বর্তমানে ২৫ পয়সা,
৫০
পয়সা,
১
রুপী,
২
রুপী ও ৫ রুপী
মূল্যের
ধাতু মুদ্রা পাওয়া যায়।
৫০
পয়সা অবধি মুদ্রাগুলিকে ‘খুচরা
পয়সা’
ও ১ রুপী ও তার বেশী মুদ্রাগুলিকে ‘খুচরা
রুপী’
বলা হয়।
কয়েনেজ অ্যাক্ট ১৯০৬ অনুযায়ী ১০০০ রুপী মুল্য পর্যন্ত কয়েন বাজারে ছাড়া
যাবে।
২।
কাগজের
মুদ্রা
:
ভারতে
আর্থিক সরঞ্জামগুলি ও ‘হুন্ডি’-র
বহু বিখ্যাত ঐতিহ্য আছে।
আধুনিক
অর্থে,
ভারতে
কাগজের মুদ্রা শুরু হয়েছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে যখন বেসরকারী এবং আধা
সরকারী ব্যাংকগুলি মুদ্রা প্রচলন করতে শুরু করেছিল।
পেপার
কারেন্সী অ্যাক্ট ১৮৬১ বলে ভারত সরকার ব্যাংকনোট ছাপা ও প্রচলনের একচেটিয়া
অধিকার পায় এবং তার দ্বারা বেসরকারী এ প্রেসিডেন্সী ব্যাংক দ্বারা ছাপানো ও
প্রচলিত মুদ্রার অবসান ঘটে।
১লা
এপ্রিল ১৯৩৫ সালে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা অবধি
ভারত
সরকার ক্রমাগত ব্যাংক নোট ছাপিয়েছিলেন ও তা বাজারে ছেড়েছিলেন।
জানুয়ারি
১৯৩৮ সালে প্রথমবার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সম্রাট ষষ্ঠ জর্জের ছবি সম্বলিত
পাঁচ রুপীর নোট ছেড়েছিল।
তারপর ফেব্রুয়ারিতে ১০ রুপীর নোট,
মার্চে
১০০ রুপীর নোট ও জুন ১৯৩৮শে ১০০০ ও ১০০০০ রুপীর নোট ছেড়েছিল।
১৯৪৭
এবং তার পরবর্তী সময়ে ১৯৫০ পর্যন্ত এই ষষ্ঠ জর্জের ছবি সম্বলিত নোট বাজারে
ছাড়া হয়েছিল,
তার
পর স্বাধীনতার পরবর্তী সময় হিসাবে অশোক স্তম্ভের ছবি সম্বলিত নোট বাজারে ছাড়া
হয়।
১৯৯৬
সালে মহাত্মা গান্ধীর ছবি সম্বলিত নোট ছাড়া হয়ে থাকে এবং তা ছাড়া হয়েছিল
পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই মূল্য মানগুলিতে Rs.5, Rs.10, Rs.20, Rs.50, Rs.100, Rs.500
এবং
Rs.1000.
২০০৫-এর
এম-জি
সিরিজের ব্যাংকনোট গুলি এই মূল্য মানগুলিতে ছাড়া হয়েছে Rs.10, Rs.20, Rs.50,
Rs.100 Rs.500, এবং Rs.1000
য়েখানে
অতিরিক্ত ও নতুন নিরাপত্তার বৈসিষ্ট্য সম্বলিত করা হয়েছে।
ভারতীয়
মুদ্রাকে কি বলা হয় ?
ভারতীয়
মুদ্রাকে বলা হয় ভারতীয় রুপী (আই-এন-আর)
আর
খুচরা মুদ্রাকে বলা হয় পয়সা।
এক
রুপীতে ১০০ পয়সা হয়।
ভারতবর্ষে
ব্যাংক নোটের মূল্য-বিভাজন
বর্তমানে কি রকম ?
ভারতীয়
ব্যাংক নোট বর্তমানে Rs.10,
Rs.20,
Rs.50,
Rs.100,
Rs.500
ও
Rs.1000-এর
মূল্য-বিভাজনে
ছাড়া হয়।
এই
নোটগুলিকে বলা হয় ব্যাংক নোট,
কারণ
এগুলি ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক
(রিজার্ভ
ব্যাংক)
থেকে
বাজারে ছাড়া হয়।
Re.1,
Rs. 2 এবং Rs.5 -এর
নোট ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যেহেতু এই মূল্য-বিভাজনগুলিকে
ধাতু-মুদ্রায়
রূপান্তরিত করা হয়েছে।
যদিও,
আগে
ছাপানো এই মূল্য-বিভাজনের
নোটগুলি এখনও বাজারে চলছে এবং সেগুলি আইনি হিসাবে স্বীকৃত।
শুধু
কি এই মূল্যের নোট ও কয়েন প্রচলিত করা যাবে
?
সব
ক্ষেত্রে নয়।
কেন্দ্রীয়
সরকারের নির্দেশানুসারে রিজার্ভ ব্যাংক পাঁচ হাজার রুপী ও দশ হাজার রুপীর
নোট,
অথবা
অন্য কোন মুল্যের নোট বাজারে ছাড়তে পারে।
অবশ্য,
রিজার্ভ
ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট,
১৯৩৪-এর
বর্তমান ব্যবস্থা অনুযায়ী দশ হাজার রুপীর বেশী মূল্যের নোট থাকতে পারে
না।
ধাতু
মুদ্রা ১০০০ রুপী
মূল্য
অবধি বাজারে ছাড়া যেতে পারে।
উচ্চ
মূল্যের ব্যাংকনোটগুলির প্রচলন বন্ধ করা।
পূর্বে
প্রচলিত Rs. 1000
এবং Rs.10000
ব্যাংকনোটগুলির
প্রচলন জানুয়ারী ১৯৪৬-এ
বন্ধ করা হয়েছিল যাতে কালো টাকা রোধ করা যায়।
১৯৫৪
সালে উচ্চ মুল্যের নোটগুলি যেমন Rs.1000, Rs.5000
এবং
Rs.10000
প্রচলন শুরু করা হয়েছিল যেগুলির প্রচলন আবার জানুয়ারি ১৯৭৮-এ
বন্ধ করা হয়েছিল।
বর্তমানে
কত মূল্যের কয়েন ভারতে প্রচলিত আছে ?
ভারতে
বর্তমানে ২৫ পয়সা,
৫০
পয়সা,
১
রুপী,
২
রুপী ও ৫ রুপী
মূল্যের
ধাতু মুদ্রা পাওয়া যায়।
৫০
পয়সা অবধি মুদ্রাগুলিকে ‘খুচরা
পয়সা’
ও ১ রুপী ও তার বেশী মুদ্রাগুলিকে ‘খুচরা
রুপী’
বলা হয়।
যদিও
১ পয়সা,
২
পয়সা,
৩
পয়সা,
৫
পয়সা,
১০
পয়সা ও ২০ পয়সা প্রচলিত থাকতে পারে,
যেহেতু
এই মুদ্রাগুলির চাহিদা নেই তাই এগুলি আর বাজারে নতুন করে ছাড়া হয়
না।
আইন
স্বীকৃত মুদ্রা কী ?
কয়েনেজ
অ্যাক্ট ১৯০৬ -এর
ধারা ৬ অনুযায়ী প্রচলন করা কয়েনগুলি অর্থ প্রদান অথবা অ্যাকাউন্টে জমার
ক্ষেত্রে আইন স্বীকৃত মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা হবে,
অর্থাত্
যদি একটি কয়েনের ঘষে আবছা করে ফেলা না হয় অথবা তার নির্দিষ্ট ওজনে তারতম্য
ঘটানো না হয়ে থাকে,
তবে
সেগুলির ক্ষেত্রে :
(১)
এক
রুপীর কম নয় এমন যে কোনো মূল্যের কয়েনগুলি যে কোনো মূল্যের জন্য আইন স্বীকৃত
মুদ্রা হিসাবে গণ্য হবে,
(২)
পঞ্চাশ
পয়সার কয়েনগুলি দশ রুপীর কম মূল্যের জন্য আইন স্বীকৃত মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা
হবে,
(৩)
আন্য
সব কয়েনগুলি এক রুপীর কম মূল্যের জন্য আইন স্বীকৃত মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা
হবে (ধারা
১৩,
কয়েনেজ
অ্যাক্ট ১৯০৬)।
সেইভাবে
কারেন্সী অর্ডন্যান্স ১৯৪০ অনুযায়ী বাজারে ছাড়া এক রুপীর নোটগুলিও আইন
স্বীকৃত মুদ্রা,
যাদের রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৩৪ দ্বারা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
সব ক্ষেত্রে ব্যবহার যোগ্য রুপী কয়েনের মধ্যে।
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক
দ্বারা প্রচলিত সমস্ত ব্যাংকনোট (Rs.2, Rs.5, Rs.10,
Rs.20, Rs.50, Rs.100, Rs.500 এবং Rs.1000)
আইন
স্বীকৃত মুদ্রা হিসাবে
ব্যাবহার করা যাবে অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে ও অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার
ক্ষেত্রে,
এবং
সেই নোটগুলি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৩৪ ধারা
২৬ উপধারা ২ -এর
শর্তাবলী মেনে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা স্বীকৃত হবে।
“আমি
প্রদান করতে অঙ্গীকার বদ্ধ হচ্ছি” এই
শব্দাবলীর মানে কী ?
রিজার্ভ
ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৩৪ ধারা
২৬ অনুযায়ী,
এই
ব্যাংককে ব্যাংকনোটের পূর্ণ মূল্য দিতে হবে।
যেহেতু
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক সেই নোটের প্রচলনকারী,
তাই
দাবী করলে সেই নোটের অর্থমূল্য রিজার্ভ ব্যাংককে প্রদান করতে হবে।
রিজার্ভ
ব্যাংকের ব্যাংকনোটের মূল্য প্রদানের দায় চুক্তি থেকে উদ্ভূত হয়
না,
কিন্তু
সেই দায়
বিধিবদ্ধ
নিয়মের দ্বারা নথিভুক্ত করা আছে।
ব্যাংকনোটে
ছাপানো প্রতিশ্রুতি অর্থাত্ “আমি
ধারককে অমুক অঙ্ক প্রদান করতে অঙ্গীকার বদ্ধ
হচ্ছি”
এই
শব্দাবলীর
মানে এই যে সেই অঙ্কের
জন্য
ব্যাংকনোটটি আইন স্বীকৃত মুদ্রা।
এই
ব্যাংকনোটের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংকের দায় সেই নোট ভাঙিয়ে সমমূল্যের কয়েন
দেওয়া অথবা তার সম অর্থমূল্য প্রদান করা।
ভারত
সরকারের কাছে রুপী কেন দায় ?
কয়নেজ
অ্যাক্ট বলে ভারত সরকার রুপী কয়েনগুলি বাজারে ছাড়ে। এই
বাজারে ছাড়া রুপী কয়েন গুলি সরকারের কাছে এক দায় হিসাবে পরিগণিত
হয়।
খ) মুদ্রা
ব্যবস্থা পরিচালনা
মুদ্রা
ব্যবস্থা পরিচালনে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ভূমিকা কী
?
রিজার্ভ
ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া
অ্যাক্ট,
১৯৩৪
বলে
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে।
রিজার্ভ
ব্যাংক ভারতে মুদ্রা ব্যবস্থা
পরিচালনা
করে।
রিজার্ভ
ব্যাংক-এর
উপদেশে সরকার বিভিন্ন মুল্যে মুদ্রা বাজারে ছাড়ার
বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নেয়।
সরকারের
সঙ্গে সমন্বয়ে
রিজার্ভ
ব্যাংক নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্য সহ ব্যাংক নোটের নকশা তৈরীর কাজও
করে।
বিভিন্ন
মূল্যের কত নোটের প্রয়োজন হবে সেটা হিসাব করে রিজার্ভ ব্যাংক এবং বিভিন্ন
ছাপাখানায় ছাপার বরাত পেশ করে।
ব্যাংক
ও কারেন্সী চেস্ট থেকে প্রাপ্ত
নোট পরীক্ষা করা হয়।
যাতে
বাজারে চালা নোটের মান বজায় থাকে তার জন্য চলার উপযুক্ত নোটগুলি পুনর্বার
বাজারে ছাড়া হয় ও অন্যগুলি
(নোংরা
বা ছিঁড়ে যাওয়া)
নষ্ট
করে ফেলা হয়।
ভারত
সরকারের ভূমিকা কী ?
রিজার্ভ
ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া অ্যাক্ট ১৯৩৪-এর
ধারা ২৫ অনুযায়ী ব্যাংকনোটের নকশা,
যা
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় বোর্ড ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে
সুপারিশ করে পাঠায় সেটির অনুমোদন ভারত সরকারকেই করতে হয়। কয়েনেজ
অ্যাক্ট ১৯০৬ এবং বিভিন্ন সময় এর সংশোধনের ভিত্তিতে ধাতু মুদ্রা তৈরীর
দায়িত্ব ভারত সরকারের।
এই
মুদ্রার নকশা তৈরী ও বিভিন্ন মূল্যের মুদ্রা তৈরীও ভারত সরকারই তত্ত্বাবধান
করেন।
কী
ভিত্তিতে ও কে সিদ্ধান্ত নেন কতটা এবং কোন মূল্যের ব্যাংক নোট ছাপানো হবে
?
প্রতি
বছর কত পরিমানে ও মূলের ব্যাংক নোট ছাপা হবে তার সিদ্ধান্ত ভারতীয় রিজার্ভ
ব্যাংক নেয়।
কত
পরিমানে ব্যাংক নোট ছাপা হবে সেটি মূলত নির্ভর করে মুদ্রাস্ফীতির কারণে
বাজারে ব্যাংক নোটের চাহিদা,
অভ্যন্তরীণ
উত্পাদন বৃদ্ধি,
নোংরা
ও ছিঁড়ে যাওয়া নোটের বদলি ও মজুদের প্রয়োজনের উপর।
কে
সিদ্ধান্ত নেত কতটা ধাতু মুদ্রা তৈরী হবে ?
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংকের চাহিদার উপর ভিত্তিকরে কত পরিমান ধাতুর মুদ্রা তৈরী করা হবে
সেই সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক কীভাবে ব্যাংক নোটের চাহিদা বোঝে
?
রাশিবৈজ্ঞানিক
মডেল/পদ্ধতি
ব্যবহার করে অর্থনৈতিক
বৃদ্ধির
হার,
পরিবর্তনের
চাহিদা ও মজুদের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ব্যাংক
নোটের চাহিদার হিসাব করে থাকে।
কীভাবে
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়
?
বর্তমানে
রিজার্ভ ব্যাংক মুদ্রা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে তার ১৮টি ইস্যু কার্যালয়ের
মাধ্যমে যেগুলি অবস্থিত আছে
আমেদাবাদ,
ব্যাঙ্গালোর,
বেলাপুর,
ভূপাল,
ভুবনেশ্বর,
চণ্ডীগড়,
চেন্নাই,
গুয়াহাটি,
হায়দ্রাবাদ,
জয়পুর,
জম্মু,
কানপুর,
কলকাতা,
মুম্বাই,
নাগপুর,
নতুন
দিল্লী,
পাটনা
ও তিরুবনন্তপুরম-এ,
একটি
উপ কার্যালয় যেটি অবস্থিত আছে লক্ষ্ণৌ-এ
এবং কোচি ও বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কারেন্সী চেস্টগুলি।
এই কার্যালয়গুলি ছাপাখানা থেকে নতুন নোট পায়।
সেই
ভাবে রিজার্ভ ব্যাংকের
ইস্যু
কার্যালয়গুলি
মুদ্রাগুলিকে
বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে অর্থ হিসাবে পাঠায়।
সেই
ভাবে রিজার্ভ ব্যাংকের হায়দ্রাবাদ,
কলকাতা,
মুম্বাই
ও নতুন দিল্লীতে অবস্থিত কার্যালয়গুলি
(ট্যাঁকশালের
সঙ্গ সম্পৃক্ত)
প্রথমে টাঁকশাল থেকে ধাতু মুদ্রা পায়।
এরপর
এই অফিসগুলি এইগুলিকে রিজার্ভ ব্যাংকের অন্য অফিসগুলিতে পাঠায়।
কাগজের
নোট ও ধাতু মুদ্রা কারেন্সী চেস্টে রাখা হয় এবং ক্ষুদ্র মুদ্রা রাখা হয়
ক্ষুদ্র মুদ্রা ভাণ্ডারে যেখান থেকে এইগুলি জনসাধারণের মধ্যে বন্টনের জন্য
ব্যবস্থা করা হয়।
কারেন্সী
চেস্ট (মুদ্রা ভাণ্ডার) কী ?
ব্যাংক
নোট ও রুপী কয়েন বন্টনের সুবিধার্থে রিজার্ভ ব্যাংক কিছু নির্বাচিত ব্যাংকের
শাখাকে কারেন্সী চেস্ট স্থাপন করার অধিকার প্রদান করেছে।
এইগুলি
আসলে জমা রাখার গুদাম যেখানে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে ব্যাংক নোট ও রুপী কয়েন
জমা রাখা হয়।
জুন
৩০,
২০০৬
অবধি দেশে
৪৪২৮টি
কারেন্সী চেস্ট ও ৪১০২ ক্ষুদ্র মুদ্রা ভাণ্ডার আছে।
কারেন্সী
চেস্ট শাখাগুলি তাদের কর্মক্ষেত্রের অন্যান্য ব্যাংকের শাখাগুলিকে নোট ও রুপী
কয়েন বন্টন করবে।
স্মল
কয়েন ডিপো (ক্ষুদ্র মুদ্রা ভাণ্ডার) কী ?
ক্ষুদ্র
মূল্যের মুদ্রা (স্মল
কয়েন)
জমা রাখার জন্য কিছু ব্যাংকের শাখা ক্ষুদ্র মুদ্রা ভাণ্ডার স্থাপন করার
অধিকার প্রাপ্ত।
ক্ষুদ্র
মুদ্রা ভাণ্ডারগুলিও তাদের কর্মক্ষেত্রের অন্যান্য ব্যাংক শাখাগুলিকে ক্ষুদ্র
মুদ্রা বন্টন করে।
ব্যাংক
নোট ও কয়েন যখন বণ্টন থেকে তুলে নেওয়া হয় তখন কী হয়
?
বাজার
থেকে তুলে নেওয়া
নোট ও কয়েন রিজার্ভ ব্যাংকের ইস্যু কার্যালয়ে জমা পড়ে।
সেই
মুদ্রাগুলিকে তারপর বাছাই করা হয়,
ব্যাংক
নোটগুলি আসল কিনা তার যাচাই করা হয়,
তারপর
তাদের দুভাগে ভাগ করা হয় -
যেইসব
নোট আবার বাজারে ছাড়ার
যোগ্য সেগুলি প্রথম ভাগে থাকে এবং যেগুলি অযোগ্য ও যাদের বাতিল করা হবে
সেগুলি দ্বিতীয় ভাগে থাকে।
যোগ্য
নোটগুলিকে আবার বাজারে ছাড়া
হয় এবং অযোগ্য নোটগুলিকে
ছিঁড়ে
নষ্ট করে ফেলা হয় তাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করার পর।
এইভাবে
কয়েনগুলিকেও বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পর দুটি ভাগ করা হয়,
তাদের
হয় আবার বাজারে ছাড়া হয় নয়ত টাঁকশালে ফেরত্
পাঠানো হয় গলিয়ে ফেলার জন্য।
কোথা
থেকে সাধারণ মানুষজন ব্যাংক নোট ও কয়েন পেতে পারেন
?
ব্যাংক
নোট ও কয়েন রিজার্ভ ব্যাংকের যে কোনও কার্যালয় থেকে এবং নির্দিষ্ট ব্যাংকের
নির্দিষ্ট শাখা থেকে পরিবর্তন করা যাবে।
গ)
বর্তমানের সমস্যাগুলি
নগদের
উপর নির্ভরতা কমানো কোনো উপায় আছে কি ?
ভারতে
নগদ রুপী এখনও অর্থ প্রদানের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত মাধ্যম।
ধীরে
ধীরে গঠনগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে কম মূল্যের ব্যাংক নোটের বদলে বেশি মূল্যের
ব্যাংক নোট ব্যবহার করে,
বিশেষ
করে থেকে Rs.100 ও
Rs.500
মূল্যের
নোট ব্যবহারের মাধ্যমে।
বিশেষ
ব্যবস্থা যেমন চেক,
ক্রেডিট
কার্ড,
ডেবিট
কার্ড,
বৈদ্যুতিন
অর্থ বিনিময় ব্যবস্থা (ইলেকট্রনিক
ফান্ড ট্রান্সফার)
ইত্যাদির
ব্যবহার ব্যাংকনোটের চাহিদা কমাতে সাহায্য করছে।
এছাড়াও
এই ব্যবস্থাগুলি যত জনপ্রিয় হবে তত মুদ্রার চাহিদাও কমবে বলে আশা করা
যায়।
ব্যাংক
নোট ও কয়েনের সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপগুলি।
ব্যাংক
নোট ও রুপী কয়েন সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া
হয়েছে।
তার
মধ্যে কয়েকটি হল
:
- সরকারের
অধীনের বর্তমানের নোট ছাপাখানা ও টাঁকশালগুলি আধুনিকরণ হয়েছে।
- ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক নোট মুদ্রণ
(প্রাইভেট)
লিমিটেড স্থাপিত হয়েছিল ৩রা ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ সালে
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সংস্থা হিসাবে।
এই
সংস্থার পরিচালনায় দুটি অত্যাধুনিক ব্যাংকনোট ছাপাখানা স্থাপিত হয়েছে
মাইসোর (কর্ণাটক)
ও
শালবনী (পশ্চিমবঙ্গ)-তে,
যারা
কাজ শুরু করেছে যথাক্রমে ১লা জুন ১৯৯৬ এবং ১১ই ডিসেম্বর ১৯৯৬-এ।
- চাহিদা
ও সরবরাহের ঘাটতি মেটাবার উদ্দেশ্যে সরকার, এক-কালীন
ব্যবস্থা হিসাবে, ব্যাংক
নোট আমদানি করেছিল ১৯৯৭-৯৮
সালে।
- ২০০০-২০০৩
সালে ভারত সরকারের চারটি টাঁকশালের উত্পাদনের পরেও চাহিদা মেটাতে
অতিরিক্ত কয়েন
আমদানি করেছিল।
এখন
দেশে নোট ও কয়েনের অবস্থা সন্তোষজনক।
- জনসাধারণ
যাতে নোট ও কয়েন পরিবর্তন করতে পারে তাই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের আঞ্চলিক
কার্যালয়গুলি এক উত্সাহী কর্মসূচী নিয়েছে।
Re.1,
Rs.2, Rs.5 -এর
ব্যাংকনোট কেন ছাপানো হয় না ?
পরিমান
হিসাবে এই নোটগুলি বাজারে মোট নোটের তুলনায় বড় অংশ অধিকার করে আছে কিন্তু
মূল্য হিসাবে এই নোটগুলি বাজারে খুব অল্প অংশই অধিকার করে আছে।
দেখা গেছে,
এই
নোটগুলি গড়ে এক বছর চলে।
অতএব
এই নোটগুলি ছাপানোর ও পরিষেবার খরচা নোটগুলি কেবল এক বছর চলার কারণে যথেষ্ঠ
পরিমান নয়।
এই
কারণে নোটগুলি ছাপা বন্ধ করা হয়।
এইজন্য
এই নোটগুলিকে ধাতুর মুদ্রায় রূপান্তরিত করা হয়।
যাই
হোক,
চাহিদা
ও সরবরাহের ঘাটতি মেটাতে Rs. 5
-এর
নোট আবার ছাপিয়ে বাজারে ছাড়া হয়েছিল ২০০১ থেকে।
কিন্তু ২০০৫ থেকে আবার Rs. 5
-এর
নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ঘ)
নোংরা ও ছেঁড়া ব্যাংকনোটগুলি
ছেঁড়া
ও নোংরা ব্যাংকনোটগুলি কী ?
নোংরা
নোট হচ্ছে অত্যাধিক ব্যবহারের দরুন নোংরা ও নেতিয়ে যাওয়া নোট।
ছেঁড়া
নোট হচ্ছে ছিঁড়ে যাওয়া,
নষ্ট
হয়ে যাওয়া,
পুড়ে
যাওয়া,
জলে
ধোয়া,
উইয়ে
খাওয়া ইত্যাদি নোট।
দ্বৈত
নম্বরের নোট দুভাগে কাটা,
কিন্তু
দুটি ভাগগুলিতেই দুটি নম্বরই অক্ষত আছে,
এমন
নোটগুলিও এখন নোংরা নোট বলে ধরা হয়।
এই
সব ব্যাংকনোটের মূল্য বিনিময় সম্ভব কি ?
হ্যাঁ।
সমস্ত
ব্যাংকগুলিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে যেন তারা
তাদের
সমস্ত শাখায় নোংরা নোট বদল করে তার পূর্ণমূল্য দেন।
নোংরা
ও ছেঁড়া নোটগলির বিনিময় কতটা মূল্য পাওয়া সম্ভব ? নোংরা
নোটের বদলে পুরো মূল্য পাওয়া যায়।
ছিঁড়ে
যাওয়া নোটের বদলে মূল্য পাওয়ার বিষয়টি
রিজার্ভ
ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া (নোট
রিফান্ড)
রুলস,
১৯৭৫
[ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক (নোট
প্রত্যার্পণ)
বিধি
১৯৭৫]
অনুযায়ী
ঘটে।
এই
বিধিগুলির কাঠামো গঠন করা হয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক অ্যাক্ট,
১৯৩৪-এর
উপর ভিত্তি করে।
জনসাধারণ
এই নোটগুলির মূল্য পান
পূর্ণাঙ্গ যাচাইয়ের পর গঠিত বিধি অনুযায়ী।
বর্তমানে,
নোটের
অবস্থা অনুযায়ী,
১০
রুপী বা তার বেশী মূল্যের ব্যাংক নোটের ক্ষেত্রে হয় পুরো,
অর্ধের
অথবা কোন মূল্য না দেওয়ার ব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
১ রুপী,
২
রুপী ও ৫ রুপী মবল্যের ব্যাংকনোটের ক্ষেত্রে
নোটের
অবস্থা অনুযায়ী
পরিবর্তনকারীকে
পুরো মূল্য অথবা কোন মূল্য না দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
নোট
রিফান্ড রুলস মতে কোন নোটগুলির মূল্য বিনিময়ের যোগ্য নয়
?
রিজার্ভ
ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া (নোট
রিফান্ড)
রুলস,
১৯৭৫
অনুযায়ী নিম্নলিখিত নোটগুলির মূল্য বিনিময়ের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়
না। একটি
ব্যাংকনোট,
যেটি
- একটি
সম্পূর্ণ নোটের অর্ধেকেরও কম আয়তনের
- অবিভক্ত
জায়গার নম্বরের অধিকাংশ অংশটি নেই,
অর্থাত্,
Rs.5
বা তার চেয়ে কম মূল্যের নোটের নম্বরের প্রথম অংশ ও তিন অথবা চারটি নম্বর
নেই;
Rs.10
বা
তার বেশি মূল্যের নোটের ক্ষেত্রে দুটি নম্বর প্যানেলেই আগে বর্ণিত অংশগুলি
না থাকলে।
- রিজার্ভ
ব্যাংকের কোনও কার্যালয় দ্বারা বাতিল করা হয়েছে অথবা যার মূল্য একবার দেওয়া
হয়ে গেছে।
- যদি
জাল অথবা নকল নোট বলে দেখা যায়।
- ইচ্ছা
করে নষ্ট করা হয়েছে বা কাটা হয়েছে এমন এবং যদি এমন কোনও অপ্রয়জনীয় কথা বা
লেখা দৃষ্টিগোচর হয় যা কোনও রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।
কোনো
ব্যাংকনোট যদি বিনিময়ের অযোগ্য হয় ?
বিনিময়ের
অযোগ্য নোট গ্রহীতা ব্যাংক জমা নেয় এবং তা রিজার্ভ ব্যাংকে পাঠিয়ে দেয় নষ্ট
করে ফেলার জন্য।
কোথায়
নোংরা ও ছেঁড়া ব্যাংক নোট নেওয়া হয় ?
সমস্ত
ব্যাংকগুলিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদের কাউন্টারে
নোংরা
নোট গ্রহণ করতে ও তার বিনিময়ে মূল্য দিতে।
যারা
ব্যাংকের গ্রাহক নন তাদেরও এই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে আশা করা যায়।
সমস্ত
নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির শাখাগুলিকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে যে তারা
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়া (নোট
রিফান্ড)
রুলস,
১৯৭৫
অনুযায়ী নোংরা নোট গুলি যাচাই করে মূল্য প্রদান করাবে।
ভারতীয়
রিজার্ভ ব্যাংক সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলিকেও কিছু কিছু দুই ভাগ করা
নোটগুলিকে নোংরা নোট হিসাবে ধরে তার মূল্য দেবার জন্য অনুমোদিত
করেছে।
ঙ)
স্বাধীনতার পর থেকে ব্যাংক নোটগুলি
(অ) অশোক
স্তম্ভওয়ালা ব্যাংকনোট:
১৯৪৯
সালে স্বাধীন ভারতে প্রথম যে ব্যাংক নোট প্রচলিত হয়েছিল তা ছিল এক রুপীর
নোট।
যদিও
এই ব্যাংকনোটগুলির নকশায় কোনো বড়সড় রদবদল করা হয়নি তবুও এই নতুন
ব্যাংকনোটগুলির জলছাপের স্থানে সম্রাট ষষ্ঠ জর্জের ছবির বদলে
সারনাথের
অশোকস্তম্ভের তিনমুখি সিংহের চিহ্ন ছিল।
১৯৫১
সাল থেকে নতুন ব্যাংকনোটে প্রচলনকারীর নাম,
নোটের
মূল্য এবং প্রতিশ্রুতিটি হিন্দীতে ছাপা শুরু হয়েছিল।
১৯৫৪ সাল থেকে Rs.1000, Rs.5000
এবং
Rs.10000-এর
নোট প্রচলন করা শুরু হয়েছিল।
অশোক
স্তম্ভের জলছাপওয়ালা
Rs.10
মূল্যের নোট ১৯৬৭-১৯৯২
সালে
প্রচলিত
হয়েছিল,
Rs.20 মূল্যের
নোট ১৯৭২-১৯৭৫
সালে প্রচলিত হয়েছিল,
Rs.50
মূল্যের
নোট ১৯৭৫-১৯৮১
সালে প্রচলিত হয়েছিল,
Rs.100
মূল্যের
নোট ১৯৬৭-১৯৭৯
সালে প্রচলিত হয়েছিল।
এই ব্যাংকনোটগুলি এখনো বাজারে পাওয়া যায়।
উপরোক্ত
ব্যাংকনোটগুলিতে কিছু চিহ্ন ছিল যা দেখায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,
অগ্রগতি
এবং ভারতীয় শিল্পকলামুখীনতা।
১৯৮০
সালে “সত্যমেব
জয়তে”
অর্থাত্
সত্যই একমাত্র জয়যুক্ত হবে,
এই
আপ্ত বাক্যটি জাতীয় চিহ্নের তলায় অন্তর্ভুক্ত করা করা হয়েছিল।
প্রচলিত
ব্যাংকনোটের পরিমান ঠিক রখার জন্য
মহাত্মা
গান্ধী ছবি এবং আশোক স্তম্ভের জলছাপ সম্বলিত Rs.500
মূল্যের ব্যাংকনোট
প্রচলিত
হয়েছিল ১৯৮৭ সালে।
(আ)
মহাত্মা
গান্ধী (এম-জি) ১৯৯৬ সিরিজ
এম-জি
সিরিজ ১৯৯৬-এর
ব্যাংকনোটগুলি পাওয়া যায় Rs.5 (নভেম্বর
২০০১-এ
প্রচলিত), Rs.10 (১৩-০৬-১৯৯৬), Rs.20
(২৪-০৮-২০০১), Rs.50
(১৪-০৩-১৯৯৭), Rs.100
(০৪-০৬-১৯৯৬), Rs.500
(২০-১০-১৯৯৭) এবংRs.1000
(নভেম্বর
২০০০)
মূল্যে। এই
সিরিজের সব ব্যাংকনোটগুলিতে সামনের দিকে
মহাত্মা গান্ধীর ছবি থাকে অশোকস্তম্ভের ছবির জায়গায়,
যেটিকে
সামনের দিকেই একধারে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর
অর্থ এই ব্যাংক নোটগুলিতে মহাত্মা
গান্ধীর
ছবি ও জলছাপ দুই আছে।
Rs.1000
মূল্য
নোট
প্রচলিত হয়েছিল অক্টোবর ৯,
২০০০
সালে
এবং
Rs.500
( সংশোধিত
রঙে) মূল্যের
নোট প্রচলিত হয়েছিল নভেম্বর ১৮,
২০০
সালে।
এই
নোটগুলিতে
কিছু বিশেষ নিরাপত্তার বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে ছিল যেমন অপ্টিকালি
ভেরিয়েবেল ইনক,
এবং
ওমরন অ্যান্টি-ফোটেকপি
বৈশিষ্ঠ্যগুলি
যেগুলি
সামনে
ও পিছনে দুই দিকেই রাকা হয়েছিল। |