চেক
প্রত্যাখান - সেক্ষেত্রে কার্যপরিচালনার প্রণালী
Ref.DBOD.BC.Leg. No.
113/09.12.001/2002-03
২৬শে
জুন, ২০০৩
সমস্ত
তালিকাভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক
(আঞ্চলিক
গ্রামীণ ব্যাংক এবং আঞ্চলিক ব্যাংক
বাদে)
মহাশয়,
চেক
প্রত্যাখান - সেক্ষেত্রে কার্যপরিচালনার প্রণালী
আপনি
নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে ১৯৯২-এ জানুয়ারি মাসে প্রত্যেকটি ব্যাংককে এই পরামর্শ দেওয়া
হয়েছিল যে গয়েপরিয়া কমিটির সুপারিশকে কার্যে পরিণত করতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোন
বিলম্ব না করে গ্রাহককে প্রত্যাখাত
দলিল ফেরত দেওয়া হবে অথবা পাঠিয়ে দেওয়া হবে (Ref No.
3.36-আমাদের
ইশতিহার DBOD No.BC 74/09.07.001/91-92
তারিখ
২৮শে জানুয়ারী, ১৯৯২)।
২।
স্টক মার্কেট স্ক্যাম সংক্রান্ত তদন্ত অনুসারে জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটি সুপারিশ
করেছেন যে “স্টক
এক্সচেঞ্জ থেকে ব্যাংকে যদি কোন প্রত্যাখাত
চেক আসে, সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলির কার্যপ্রনালী কি হবে সেটার বিষয় নির্দিষ্ট
নির্দেশাবলী ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের প্রকাশ করা উচিত সমস্ত ব্যাংকের
উদ্দেশ্য”।
জয়েন্ট পার্লামেন্টারি কমিটির পূর্বে বলা সুপারিশ অনুযায়ী প্রত্যাখাত
চেক ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে অদ্যাপি বর্তমান নির্দেশাবলী পূনর্বিবেচনা করা
হচ্ছে।
৩।
আমরা জানি যে প্রত্যাখাত
চেকের ক্ষেত্রে পূর্বক্তো নির্দেশাবলি মেনেই ব্যাংকগুলি অগ্রসর হওয়ার উপযোগি ধরন
অনুশরণ করছেন। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ব্যাংকের অগ্রসর হওয়ার ধরনটি একটি নির্দিষ্ট
গতিপথে চালিত করা বিশেষভাবে প্রয়োজনিয়। প্রত্যাখাত
দলিলের ক্ষেত্রে বর্তমান নির্দেশাবলীর সাথে সাথে এই ইশতিহারের ৪ নং পরিচ্ছেদে যে
নির্দেশাবলি দেওয়া আছে ব্যাংক সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে অর্থাত্ শুধুমাত্র স্টক
এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রেই নয়, অপর্যাপ্ত টাকা না থাকার দরুন যে সমস্ত চেক প্রত্যাখাত
হবে সেগুলিও এর তালিকাভুক্ত।
৪।
ক) প্রত্যাখ্যাত চেক ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াকরণ
১)
ইউনিফর্ম
রেগুলেশান এবং রুলস ফর ব্যাংকার্স ক্লিয়ারিং হাউসেস দ্বারা গঠিত শর্তাবলি অনুযায়ী
দেয় ব্যাংকটি প্রত্যাখাত
চেকগুলি, যেগুলি ক্লিয়ারিং হাউজের দ্বারা উপস্থাপিত করা হয়েছে সেগুলি ফেরত পাঠাবেন।
গ্রহিতা ব্যাংকটি সেই প্রত্যাখাত
চেকগুলি সঙ্গে সঙ্গে ফেরত পাঠাবেন নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে।
২) যেখানে চেক
সরাসরি প্রেরক ব্যাংকের কাছে পাঠানো হবে, টাকা ভাঙিয়ে দুটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে অর্থ
স্থানান্তরের মাধ্যমে দেওয়ার জন্য, সে ক্ষেত্রে চেক প্রত্যাখাত হলে সেটি অবিলম্বে
প্রেরক/অধিকারীদের
পাঠাতে হবে।
৩)
অপর্যাপ্ত
টাকা না থাকার কারণে যদি কোনো চেক প্রত্যাখাত
হয় তাহলে সেটিকে ফেরত পাঠাতে হবে এবং একটি স্মারকের মাধ্যামে জানাতে হবে
অপর্যাপ্ত
টাকা না থাকার নির্দিষ্ট কারণগুলি।
৪।
খ) প্রত্যাখ্যাত চেকের তথ্য
১)
প্রতি এক
কোটি অথবা তার উর্দ্ধে কোন চেক যদি প্রত্যাখাত
হয় তাহলে তার সমস্ত তথ্য ব্যাংকের এম-আই-এস দ্বারা জানাতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট
শাখাগুলি সেই তথ্য তাদের প্রধান কার্যালয়ে জানাবে।
২) স্টক
এক্সচেঞ্জের নামে দেওয়া চেক অথবা তার প্রত্যাখানের তথ্যের, তাদের মূল্য যাই হোক না
কেন, ব্রোকার সংস্থাদের সঙ্গে তাদের এম-আই-এস-এর অংশ হিসাবে আলাদাভাবে বিবরণ
রাখবে।
৪।
গ) যদি ঘন ঘন প্রত্যাখ্যাত হয় সেক্ষেত্রে কর্য পদ্ধতি কি হবে
১)
অর্থনৈতিক
নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখার জন্য চেক পরিষেবা সমেত চলতি অ্যাকাউন্টের পরিচালনার
ক্ষেত্রে ব্যাংক একটি নির্দেশ জারি করবে যে এক কোটি অথবা তার উর্দ্ধে কোন চেক যদি
একটি অর্থনৈতিক বছরে চারবার প্রত্যাখাত
হয় পরিযাপ্ত টাকা না থাকার দরুন তাহলে নতুন চেক বই দেওয়া হবে না এবং ব্যাংক যদি মনে
করেন তাহলে চলতি অ্যাকাউন্ট বন্ধও করে দিতে পারেন।
২)
চলতি
অ্যাকাউন্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে যে সমস্ত নিয়মাবলী পূর্বের (ক) পরিচ্ছেদে দেওয়া আছে
ব্যাংক নতুন চেক বই দেওয়ার সময় একটি চিঠিও দিতে পারেন সে সমস্ত নির্দেশাবলীর তথ্য
জানিয়ে।
৩)
কোন
অর্থনৈতিক বছরে যদি কোন চেক তৃতীয় বারের জন্য ফেরত চলে যায় কোন নির্দিষ্ট
অ্যাকাউন্ট থেকে তাহলে ব্যাংক তাকে সতর্কীকরণমূলক পরামর্শ দেবে পূর্বোক্ত নিয়মাবলী
সম্পর্কে এবং চতুর্থবার যদি এ ঘটনা ঘটে তাহলে চেক বই দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। একই
সতর্কীকরণমূলক উপদেশ দেওয়া হবে যদি ব্যাংক মনে করেন যে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে
হবে।
৪।
ঘ) সাধারণ
১)
একজন
অভিযোগকারীর (অর্থাত্ প্রত্যাখাত
চেকের যে প্রাপক) ক্ষেত্রে চেকটি যে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে সেটা প্রমান করার উদ্দেশ্য
কিছু প্রমান উদ্ধৃত করতে হবে বিচারালয়ে অথবা কনসিউমার ফোরাম অথবা অন্য যেকোন
উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে। ব্যাংক সেক্ষেত্রে তাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন এবং
লিখিত প্রমানাদি সরবরাহ করবেন।
২)
২০০৪-০৪ এর
প্রথম থেকে শুরু করে অর্থাত্ ২০০৩-এর জুন মাসের পে অবধি ব্যাংক তাদের অডিট অথবা
ম্যানেজমেন্ট কমিটির সামনে পূর্বোক্ত (খ)
দেওযা সমস্ত নির্দেশাবলীর তথ্য জানাবেন।
৫।
নির্দিষ্ট বোর্ডের সম্মতি নিয়ে সমস্ত ব্যাংককে এই উপদেশ দেওয়া হচ্ছে যে
প্রত্যাখাত
চেকের ক্ষেত্রে যে নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছে সেগুলি যেন তারা গ্রহণ করেন কিছু সহজাত
প্রতিবেদন ব্যাবস্থা সমেত এবং যে গ্রাহক চেকটি নেবেন তার সঙ্গে ব্যাংকের কোন কর্মী
অথবা অন্য কারোর কোন বাকবিতণ্ডা না হয় সেটার দিকে নজর রাখতে হবে। গ্রাহকের যদি দেরী
করে দেওয়া হয়, চেকটি যদি প্রত্যাখাত
হয়, প্রত্যাখাত
চেকটি যদি তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এই সমস্ত ক্ষেত্রে গ্রাহক পরিষেবার বিরুদ্ধে অভিযোগ
করতে পারেন। ব্যাংকগুলি অভ্যন্তরীন কিছু নির্দেশাবলী বানাবেন তাদের উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তাদের এব কর্মচারীদের জন্য এবং উপদেশ দেবেন যেন তারা সেই নির্দেশ মেনে চলেন
এবং সঠিক যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রাহকের প্রত্যাখাত
চেক ফরিয়ে উদ্দেশ্যপূরণে কার্যকর হন।
৬।
অনুগ্রহ করে এই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করবেন।
ইতি
ভবদীয়
স্বাক্ষর/-
(সি
আর মুরলিধরন)
চীফ
জেনারেল ম্যানেজার