আরবিআই/২০১০-১১/৮২
ডিপিএসএস(সিও)ইপিপিডি নং.৪৭৭/০৪.০৩.০১/২০১০-১১
সেপ্টেম্বর ১, ২০১০
সভাপতি এবং পরিচালন অধিকর্তা / মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক,
এনইএফটি / এনইসিএস / ইসিএস-তে অংশগ্রহণকারী সদস্য ব্যাঙ্কসমূহ
মহাশয়া / প্রিয় মহাশয়,
এনইএফটি / এনইসিএস / ইসিএস লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেডিট / রিটার্নে বিলম্বজনিত ব্যাঙ্কগুলি কর্তৃক প্রদেয় শাস্তিমূলক সুদপ্রদানে সমতা
আপনি অবগত আছেন যে সাম্প্রতিক অতীতে খুচরো-বৈদ্যুতিন-অর্থপ্রদান-উপকরণগুলির পরিধি ও আয়তনে তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি লক্ষিত হয়েছে। দেশের ব্যাঙ্কগুলির প্রায় ৭০,০০০ প্রশাখা এনইএফটি সুবিধা প্রদান করে থাকে এবং ৮৯টি কেন্দ্রে ইসিএস ব্যবস্থা কায়েম রয়েছে। কেবল মাত্র ২০১০ সালের জুলাই মাসেই ৯০ লক্ষ লেনদেন এনইএফটি-তে এবং ২৫০ লক্ষ লেনদেন এনইসিএস / ইসিএস মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। যদিও অর্থপ্রদান সংক্রান্ত লেনদেনগুলিকে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে এটি ইতিবাচক, তবে সদস্য ব্যাঙ্কগুলি দ্বারা গ্রাহক পরিষেবা ও দক্ষতা সংক্রান্ত নির্ধারিত মাপকাঠি রক্ষা করার বিষয়টির ওপর লক্ষ রাখাও অতি আবশ্যক।
এনইএফটি / এনইসিএস / ইসিএস-এর পদ্ধতি সংক্রান্ত নির্দেশাবলী এবং সময়ে সময়ে জারি করা আমাদের সার্কুলার / নির্দেশিকা অনুসারে সদস্য ব্যাঙ্কগুলিকে উপকৃতের একাউন্টে ক্রেডিট করা অথবা মূল / পৃষ্ঠপোষক ব্যাঙ্কে ফেরতযোগ্য লেনদেন (যে কোনও কারণে যদি ক্রেডিট না হয়ে থাকে) প্রস্তাবিত সময়সীমার মধ্যে পাঠিয়ে দিতে হবে। বিলম্বের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক বিধি-ব্যবস্থা নির্দিষ্ট করা আছে।
এই সমস্ত খুচরো বৈদ্যুতিন-অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক বিধি একরূপ নয়। এনইসিএস (পদ্ধতি সংক্রান্ত নির্দেশাবলীর অনুচ্ছেদ ১৫.৪)এবং এসিএস-ক্রেডিট (পদ্ধতি সংক্রান্ত নির্দেশাবলীর অনুচ্ছেদ ২৯)-এর ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিকে শাস্তিমূলক সুদ হিসেবে বর্তমান ব্যাঙ্ক-রেট + ২% অর্থপ্রদান করতে হবে, যখন কিনা এনইএফটি ((পদ্ধতি সংক্রান্ত নির্দেশাবলীর অনুচ্ছেদ ৬.৭)-এর ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক-রেট প্রযোজ্য। ব্যবহৃত মাপকাঠির প্রমিতকরণের মাধ্যমে সমস্ত খুচরো অর্থপ্রদান-উপকরণে একরূপতা আনার জন্য নিম্নলিখিত পরিবর্তন সাধন করা হচ্ছেঃ
এনইসিএস / ইসিএস-ক্রেডিট
“............... উদ্দিষ্ট ব্যাঙ্কের দায় থাকবে ক্রেডিট করার নির্দিষ্ট তারিখ থেকে বিলম্বের কারণে যেদিন বাস্তবে ক্রেডিট হয়েছে সেই অবধিকালের জন্য বর্তমান আরবিআই এলএএফ রেপো রেট + ২% হারে শাস্তিমূলক সুদ উপকৃতের একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া। এমনকী যদি কোনও দাবি নাও থাকে তবু শাস্তিমূলক সুদ উপকৃতের একাউন্টে ক্রেডিট করে দিতে হবে”।
এনইএফটি
অনুচ্ছেদ ৬.৭ – “উদ্দিষ্ট ব্যাঙ্কের অর্থপ্রদান করার নির্দেশ প্রাপ্তির পরও অর্থ হস্তান্তরণ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট ব্যাঙ্কের কোনও কর্মচারীর তরফ থেকে ত্রূটি, অবহেলা বা প্রতারণার কারণে উপকৃতকে অর্থপ্রদানে বিলম্ব হয়ে থাকলে উদ্দিষ্ট ব্যাঙ্ক বিলম্বের অবধিকালের জন্য বর্তমান আরবিআই এলএএফ রেপো রেট + ২% হারে ক্ষতিপূরণ দেবে। অর্থ হস্তান্তরণ ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে যে কোনও কারণে বিলম্ব হয়ে থাকলে উদ্দিষ্ট ব্যাঙ্ক সম্পূর্ণ পরিমাণ ফেরতসহ বিলম্বের অবধিকালের জন্য বর্তমান আরবিআই এলএএফ রেপো রেট + ২% হারে সুদপ্রদান করবে”।
অনুচ্ছেদ ৬.৮ পালটে নিম্নাকৃত করা হচ্ছে-
“এনইএফটি সম্পন্ন করার কার্য-সময়ের ভিতর মূল ব্যাঙ্কের চেষ্টা করা উচিৎ অনলাইন বা কাউন্টারের মাধ্যমে এবং পরের ব্যাচেই এনইএফটি লেনদেনের জন্য প্রাপ্ত অনুরোধ কার্যকর করা, এবং কোনওভাবেই অনুরোধ প্রাপ্তির পর দু’ঘন্টা যেন ছাড়িয়ে না যায়। এই নিয়ম মানার ক্ষেত্রে বিলম্ব বা সম্ভাব্য বিলম্বের কিছু অবকাশ থাকলে মূল প্রেরক / গ্রাহকদের এই বিলম্ব/সম্ভাব্য বিলম্ব সম্পর্কে কারণসহ জানাতে হবে”।
সদস্য ব্যাঙ্কদের পদ্ধতিগত নির্দেশাবলীতে উপরোক্ত পরিবর্তনগুলি নজরে রাখতে হবে। এই পরিবর্তনগুলি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
আপনার বিশ্বস্ত
(স্বাক্ষরিত)
(জি. পদ্মানাভন)
মুখ্য মহাপ্রবন্ধক
|